—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
লিভ-ইন সম্পর্কে থাকলেও গার্হস্থ্য হিংসার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন মহিলারা, তার জন্য বিবাহের স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই। একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই জানাল কেরল হাই কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, যে কোনও মহিলাই গার্হস্থ্য হিংসা আইনে মামলা করতে পারেন। তার জন্য তাঁর বিয়ে হওয়া আবশ্যক নয়।
লিভ-ইন সম্পর্কের কথা জানিয়ে জনৈক ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা আইনে আনা অভিযোগগুলি সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। পারিবারিক আদালতে মামলার শুনানির পর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই ব্যক্তির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কোনও মহিলা যদি পুরুষের সঙ্গে ঘরোয়া সম্পর্কে থাকেন, তিনি ওই পুরুষের দ্বারা যে কোনও রকমের হিংসার বিরুদ্ধেই গার্হস্থ্য হিংসা আইনে মামলা করতে পারেন। ঘরোয়া সম্পর্ক বলতে এখানে দু’জন মানুষের মধ্যে এমন এক সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, যেখানে নারী এবং পুরুষ একই সংসারে থাকেন অথবা অতীতে কখনও ছিলেন। এই সম্পর্ক বিবাহের দ্বারা স্থাপিত হতে পারে। আবার তা বিবাহের মতো কোনও সম্পর্ক, জন্মসূত্রের আত্মীয়তা কিংবা পারিবারিক যোগাযোগের মাধ্যমেও স্থাপিত হতে পারে।
মামলাকারীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা আইনের ১২ নম্বর ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পারিবারিক আদালতে সেই মামলার শুনানি চলছে। তার মাঝেই গার্হস্থ্য হিংসা আইনের ধারাটি সরানোর জন্য হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর যুক্তি ছিল, অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে তিনি আবদ্ধ হননি। তাই একে গার্হস্থ্য হিংসা বলা যায় না। তবে আদালত পাল্টা যুক্তি দিয়ে তাঁর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।