Arif Mohammed

‘আমায় মারতে মুখ্যমন্ত্রীই গুন্ডা পাঠান’! কনভয়ে ‘হামলা’র পরেই বিজয়নকে তোপ রাজ্যপাল আরিফের

সোমবার দিল্লি যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছিল রাজ্যপালের কনভয়। অভিযোগ যে, সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের কয়েক জন সদস্য আরিফের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৫৪
Share:

আরিফ মহম্মদ খান (বাঁ দিকে) এবং পিনারাই বিজয়ন। —ফাইল চিত্র।

সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে মারার চক্রান্ত করার অভিযোগ তুললেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান‍! তাঁর এই অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নিয়ে সম্প্রতি বার বার শিরোনামে এসেছে কেরল। সেই আবহেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের এই অভিযোগ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

সোমবার দিল্লি যাওয়ার জন্য তিরুঅনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছিল রাজ্যপালের কনভয়। অভিযোগ যে, সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের কয়েক জন সদস্য আরিফের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখান। মাঝরাস্তায় আটকে পড়েন রাজ্যপাল। তার পরই গাড়ি থেকে নেমে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের উদ্দেশে তোপ দাগেন তিনি। অভিযোগ করেন যে, তাঁকে মারা এবং শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করার পরিকল্পনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজয়নই রাস্তায় গুন্ডা পাঠিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপালের কথায়, “যদি এখানে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও কর্মসূচি থাকত, তবে কি গাড়ি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের এ ভাবে আসার অনুমতি দেওয়া হত? তারা (পুলিশ) কি কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির কাছে আসতে দিতেন? এখানে গাড়ি নিয়ে বিক্ষোভকারীরা এলেন আর পুলিশ তাঁদের গাড়িতে ঠেলে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিল।” তার পরই সরাসরি বিজয়নকে তোপ দেগে আরিফ বলেন, “আমি স্পষ্ট ভাবে বলছি, মুখ্যমন্ত্রী আমায় শারীরিক ভাবে আঘাত করার ষড়যন্ত্র করেছেন এবং এই গুন্ডাদের পাঠিয়েছেন।”

Advertisement

রাজ্যপালের দাবি যে, তাঁর কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছে। কেরলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই কেরলের রাজভবনের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, অন্তত তিন জায়গায় রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখান বিক্ষোভকারীরা। তার মধ্যে দু’জায়গায় রাজ্যপালের কনভয় বিক্ষোভকারীদের ‘হামলা’র মুখে পড়ে। পুলিশের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, মাত্র একটি জায়গাতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল। এই ঘটনায় এসএফআইয়ের সাত জন সদস্যকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement