কেরলের সোনা পাচার-কাণ্ডে মূল দোষী হিসাবে উঠে এসেছিল স্বপ্না সুরেশের নাম। যদিও স্বপ্না বরাবর বলে এসেছেন তিনি একা নন, সোনা পাচারে সরকারের শীর্ষ পদে থাকা অনেকেই পরোক্ষে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি আবারও একই কথা বললেন। তবে এ বার সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্বপ্না। বললেন, তাঁকে চাপ দিতে তাঁর পরিচিতদের হেনস্তা করা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু তিনি তাঁর বয়ান বদলাবেন না।
শনিবারই স্বপ্নার আইনজীবী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী কৃষ্ণা রাজের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেছে পুলিশ। কৃষ্ণার একটি ফেসবুক পোস্ট ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে জানানো হয়েছে ওই এফআইআরে। সেই প্রসঙ্গেই স্বপ্না এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘কেন বার বার আমাকে এরা আঘাত করছে। আমার কাছের লোকেদের আঘাত করছে? এ ভাবে আমার পরিচিতদের হেনস্তা করবেন না। তার চেয়ে আমাকে আঘাত করুন। আমাকে মেরে ফেলে এই ঝামেলা মেটান। কিন্তু আমি আমার বয়ান বদলাব না।’’
এক সপ্তাহ আগেই কেরলের বাম বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী কে টি জলিলের বিরুদ্ধে সোনা পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছিলেন স্বপ্না। এমনকি, কোর্টে প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সবরকম তথ্যপ্রমাণ দিয়ে এসেছেন বলেও জানিয়েছিলেন। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, তাঁর স্ত্রী কমলা এবং মেয়ের নামও জুড়েছিলেন সোনা পাচারের ঘটনায়। সুরেশ বলেছিলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে ব্যাগভর্তি টাকা নিয়ে দুবাই গিয়েছিলেন একবার।’’ সেই অভিযোগের এক সপ্তাহের মধ্যেই স্বপ্নার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা এবং কৃষ্ণার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিয়োগ দায়ের করা হয়। শনিবার সাংবাদিকদের সামনে কাঁদতে কাঁদতে শেষে জ্ঞান হারান স্বপ্না।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।