আকাশ ও ঐশ্বর্যের বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল সোমবার।
জল থইথই গোটা এলাকা। তার মধ্যেই রান্না করার বড় অ্যালুমিনিয়ামের গামলায় চেপে মন্দিরে বিয়ে করতে গেলেন বর-কনে। বন্যা-কবলিত কেরল থেকে উঠে আসা বীভৎস সব দৃশ্যের মাঝেই সংবাদমাধ্যমে ভেসে উঠল আলাপুঝা জেলার থালাভাডি গ্রামের এই ছবি।
আকাশ ও ঐশ্বর্য দু’জনেই চেঙ্গান্নুরের একটি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁদের বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল সোমবার। বিগত তিন ধরে কেরলের কোট্টায়াম, ইদুক্কি এবং আলাপুঝা-সহ একাধিক জেলায় টানা বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলেও তাঁরা বিয়ে পিছনোর ঝুঁকি নিতে পারেননি। দু’জনেরই কথায়, ‘‘অনেক দিন পর আমাদের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কোভিডবিধি মেনে কম লোকজনকেও ডাকা হয়েছে। জানি, খুব বৃষ্টি হয়েছে। খুব খারাপ অবস্থা। কিন্তু তাও বিয়ে পিছিয়ে দিতে পারলাম না।’’
আরব সাগরে গভীর নিম্নচাপের জেরে গত শুক্রবার থেকে কেরলে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। যার জেরেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি কোট্টায়াম এবং ইদুক্কির বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ভূমিধসের খবর মিলেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে কেরলে এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের প্রাণ গিয়েছে। রবিবার রাত পর্যন্ত কোট্টায়ামে ১৩ জন, ইদুক্কিতে ন’জন এবং আলাপুঝায় চার জনের প্রাণ গিয়েছে। নিখোঁজ হয়েছেন বহু মানুষ।
তবে রবিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। তবে পরিমাণ কমলেও আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার ও মঙ্গলবারও বৃষ্টি হবে রাজ্যের কয়েকটি জেলায়। কিন্তু তীব্রতা কম থাকবে। তা সত্ত্বেও রাজ্যের পাঁচ জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।