লটারির প্রথম পুরস্কার মূল্য ছিল ৭০ লক্ষ টাকা। —প্রতীকী ছবি
ব্যাঙ্কের ৯ লাখ টাকা ঋণ মেটাতে পারেননি। ঋণখেলাপের নোটিসটি যখন ব্যাঙ্ক পাঠিয়েছিল, ভেঙে পড়েছিলেন কেরলের এক মাছ ব্যবসায়ী। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যে ভাগ্য এ ভাবে ঘুরে যাবে, স্বপ্নেও ভাবেননি। রাজ্য সরকারের অক্ষয় লটারির টিকিট কেটে ৭০ লক্ষ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
১২ অক্টোবর ভোরে মাছ কিনতে যাওয়ার সময় লটারির টিকিট কেটেছিলেন কোল্লামের পুকুঞ্জু নামের ওই মাছ ব্যবসায়ী। লটারির প্রথম পুরস্কার মূল্য ছিল ৭০ লক্ষ টাকা। মাছ বিক্রি করে বিকেলে যখন বাড়ি ফিরেছিলেন, মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণখেলাপের নোটিস পাঠিয়েছে। বাড়ি বন্ধক রেখে ৯ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তা মেটাতে পারেননি। ব্যাঙ্ক নোটিস পাঠিয়ে জানায়, তাঁর বাড়ি বাজেয়াপ্ত করবে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পুকুঞ্জুর। তাঁর স্ত্রী বলেন, ‘‘নোটিস পেয়ে ভেঙে পড়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না, কী করব! নিজেদের ভিটে বিক্রি করতে হবে কি না, সেই চিন্তায় ছিলাম।’’
কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভাগ্য যে এ ভাবে সদয় হবে, বুঝতেই পারেননি তাঁরা। সন্ধ্যায় অক্ষয় লটারি-জয়ীর নম্বর ঘোষণা হয়। দেখা যায় প্রথম পুরস্কার জিতেছেন পুকুঞ্জু। কয়েক ঘণ্টা আগেও গলা পর্যন্ত যাঁর ঋণে ডুবে ছিল, তিনি তখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। পুকুঞ্জুর স্ত্রী জানিয়েছেন, লটারির পুরস্কারের টাকায় আগে ব্যাঙ্কের ঋণ মেটাবেন তাঁরা। তার পর বাচ্চাদের পড়াশোনার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। বাকি টাকা দিয়ে কী হবে, তার পর ভেবে দেখবেন পুকুঞ্জুরা।