খালেদ মাশাল এবং পিনারাই বিজয়ন। — ফাইল চিত্র।
রবিবার কোচির অদূরে ধর্মীয় সম্মেলনে বিস্ফোরণের পরেই কেরলের বাম সরকারের বিরুদ্ধে কট্টরপন্থার সঙ্গে আপস করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। উঠে আসছে, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মলাপ্পুরম জেলায় প্যালেস্তাইন-পন্থীদের সমাবেশে হামাস নেতার ভার্চুয়াল বক্তৃতার প্রসঙ্গ। বিতর্কের এই আবহে সোমবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানালেন ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিজয়ন বলেন, ‘‘সামাজমাধ্যমে হামাসের নেতার ভার্চুয়াল বক্তৃতার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, আমাদের রাজ্যে ওই সভার আয়োজন হয়েছিল। পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কট্টরপন্থী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির যুব শাখা ‘সলিডারিটি ইউথ মুভমেন্ট’ শুক্রবার রাতে মলাপ্পুরমে একটি সভার আয়োজন করেছিল বলে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি। অভিযোগ, ওই সভায় হামাসের প্রথম সারির নেতা খালেদ মাশাল ভার্চুয়াল বক্তৃতা করেছেন।
‘সেভ প্যালেস্তাইন’ শীর্ষক ওই সভায় খোলাখুলি ইজ়রালের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানো হয় বলেও অভিযোগ। প্রসঙ্গত, হামাসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক মঞ্চ ‘পলিটিক্যাল ব্যুরো’র চেয়ারম্যান মাশালের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে একাধিক হামলার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর গাজ়া থেকে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরাসরি তেল আভিভের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও ইজ়রায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হামাসের হামলার নিন্দা করা হয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে বামশাসিত কেরলে সরাসরি ইজ়রায়েল বিরোধী সভার আয়োজন নিয়ে বিজেপি সরব হয়েছে। বিজেপির কেরল শাখার সভাপতি কে সুরেন্দ্রন প্রশ্ন তুলেছেন— সে রাজ্যের বাম সরকার কী ভাবে হামাসের মতো একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সমর্থনে জনসভার আয়োজন করতে অনুমতি দিল? কেরলের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সহযোগী ‘ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ’ (আইইউএমএল) কোঝিকোড় জেলায় হামাসের সমর্থনে মিছিল করেছে বলেও অভিযোগ বিজেপির।
প্রসঙ্গত, প্যালেস্তাইনের সমর্থনে কেরলে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি পালন করেছে আইইউএমএল। একটি সভায় কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও হাজির ছিলেন। কিন্তু হামাসের সমর্থনে সভায় কোনও প্রচার হয়নি বলে আইইউএমএল নেতৃত্বের দাবি। শশীও এমনই একটি কর্মসূচিতে সরাসরি হামাসের সমালোচনা করেছিলেন।