কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। — ফাইল চিত্র।
গত কয়েক মাসে কাজের চাপে একের পর এক মৃত্যু হয়েছে দেশ জুড়ে। এ বার সেই সূত্র ধরেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বার্তা দিলেন, দেশে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে কর্মসংস্থান আইন প্রয়োগ করতে হবে।
গত অগস্ট মাসেই ‘কাজের চাপে’ মৃত্যু হয়েছে পুণের বহুজাতিক সংস্থা আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং (ইওয়াই)-এ কর্মরত মালয়ালি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অ্যানা সেবাস্টিয়ানের। বছর ছাব্বিশের অ্যানা কেরলের এর্নাকুলামের বাসিন্দা ছিলেন। এই ঘটনাকে ঘিরে আলাপুঝার বিধায়ক পিপি চিথরঞ্জনের নোটিশের প্রতিক্রিয়াতেই সোমবার রাজ্য বিধানসভায় এই কথা বলেন বিজয়ন। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, কাজের চাপ, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা এবং শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের মতো যাবতীয় অভিযোগ কেন্দ্রকে জানানো হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রকে কর্মসংস্থান আইন নিয়ে আরও কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন বিজয়ন। বিজয়ন আরও বলেন, ‘‘কোভিড পরবর্তী সময়ে ঘরে বসে কাজ অর্থাৎ ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ মডেলটি বহু সংস্থাই গ্রহণ করেছে। কিন্তু বর্তমান শ্রম আইনগুলিতে এই মডেলে কাজের সময়বিধি নিয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা নেই।’’ কেন্দ্রকে এই সব সমস্যা পর্যালোচনার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, অগস্ট মাসে কাজের চাপে মৃত্যু হয় ইওয়াই-কর্মী অ্যানার। এই ঘটনায় বিতর্ক শুরু হয় নানা মহলে। সংস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে চিঠিও লেখেন মৃতার মা। সেখানে চার মাস ধরে মেয়ের উপর মানসিক অত্যাচার চলেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাল্টা মুখ খোলে সংস্থাও। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। এর পর থেকেই কর্পোরেটগুলিতে কাজের পরিবেশ বদলের জন্য সুর চড়াতে শুরু করেছেন অনেকে। সমাজমাধ্যমেও চলছে বিস্তর লেখালিখি।