তিরুপতি লাড্ডু বিতর্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা। —ফাইল চিত্র।
ধর্ম এবং রাজনীতি মধ্যে বিভাজন থাকা প্রয়োজন! তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মেশানোর অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তা-ই নয়, লাড্ডু নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করা নিয়েও প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত।
দিন কয়েক আগে চন্দ্রবাবু তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, জগন্মোহন রেড্ডির সরকারের আমলে তিরুমালার প্রসাদী লাড্ডু বানানোর সময় ব্যবহৃত ঘিয়ের সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হত। গুজরাতের এক সরকারি ল্যাবরেটরির জুলাইয়ের একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে তিনি দাবি করেছিলেন, তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে ‘বিশুদ্ধ’ ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পশুর চর্বি। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
সোমবার বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে লাড্ডু বিতর্ক মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে প্রশ্নের মুখে পড়েন চন্দ্রবাবু। বিচারপতিদের প্রশ্ন, ‘‘আপনি (অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার) যখন বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, তখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার কী প্রয়োজন ছিল?’’ তার পরই রাজ্য সরকারের উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, ‘‘ভেজাল সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে আপনি কী ভাবে জনসমক্ষে মন্তব্য করলেন?’’
আদালতের প্রশ্ন, ‘‘লাড্ডু তৈরিতে যে ঘি ব্যবহার করা হত, তার প্রমাণ কোথায়?’’ পশুর চর্বি ব্যবহারের বিষয়টা ‘মিথ্যা’ প্রমাণিত হতে পারে, এমনও সম্ভাবনার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের মন্তব্য, ‘‘আপনি (চন্দ্রবাবু নায়ডু) যখন একটি সাংবিধানিক পদে আছেন, তখন আমরা আশা করব ভগবানকে রাজনীতির থেকে দূরে রাখবেন।’’
লাড্ডু বিতর্কে চন্দ্রবাবুর অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন জগন এবং তাঁর দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখেছেন জগন। তাঁর অভিযোগ, তিরুপতি মন্দিরের মর্যাদা ও পবিত্রতা নষ্টের চেষ্টা করেছেন চন্দ্রবাবু। এমনকি, এমন অভিযোগ করে চন্দ্রবাবু ‘পাপ’ করেছেন বলেও দাবি করেন জগন।