প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। —ফাইল চিত্র।
সাংসারিক বিরোধ। বনিবনা হচ্ছে না স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সমাধানে আশায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে দম্পতিকে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের পরামর্শ, ‘‘উভয়ের সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদ করে নিন’’। কারণ হিসাবে প্রধান বিচারপতির ব্যাখ্যা, দীর্ঘ দিন আইনি লড়াইয়ে আখেড়ে লাভবান হবেন আইনজীবীরাই। মামলা যত চলবে ততই খুশি হবেন তাঁরা।
সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে এক মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি ওই মহিলার কাছে জানতে চান, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে। মহিলা জানান, তিনি আমেরিকাতে এমটেক এবং ডক্টরেট করেছেন। তার পরই প্রধান বিচারপতি জানতে চান, তিনি এখন কী কাজ করেন? উত্তরে মহিলা জানান, এখন তিনি বেকার।
মহিলার উত্তর শুনে বিস্মিত হন প্রধান বিচারপতি। তিনি মহিলার উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনি এত শিক্ষিত, তার পরও আপনার কাছে চাকরি নেই। আপনার উচিত নিজের জন্য একটা চাকরি খোঁজা।’’ তার পরই প্রধান বিচারপতি মহিলাকে পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘‘আপনি জীবনে ১০ বছর আইনি লড়াই করে কাটাতে পারেন। ১০ বছর ধরে মামলা চললে এক মাত্র আইজীবীরাই খুশি হবেন।’’ প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘আপনাদের মামলা শুনে মনে হচ্ছে, আপনারা আর দু’জনে একসঙ্গে থাকতে পারবেন না। সে কারণে বিবাহবিচ্ছেদই শ্রেয় হবে বলে মনে হয় আমার।’’