তেলঙ্গানার সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। —ফাইল চিত্র।
পড়ে গিয়ে কোমর ভেঙেছিলেন। তেলঙ্গানার সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। হায়দরাবাদের যশোদা হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
কেসিআরের দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সফল অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছে। তাদের পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘যশোদার চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে কেসিআরের কোমরে অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওঁর শরীর অস্ত্রোপচারে ভাল ভাবে সাড়া দিয়েছে। আপাতত সাধারণ শয্যায় এনে রাখা হয়েছে কেসিআরকে। তবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে এখনও ছয় থেকে আট সপ্তাহ লাগবে।’’
হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন কেসিআর? তেলঙ্গানার বিআরএস নেতারা জানিয়েছেন, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই তাঁদের নেতাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। যশোদা হাসপাতাল থেকেও কেসিআরের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পা পিছলে পড়ে যান কেসিআর। গুরুতর চোট লাগে তাঁর কোমরে। রাতেই তাঁকে যশোদা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই হল অস্ত্রোপচার।
সদ্য শেষ হওয়া তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে কেসিআরের দল। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হারিয়েছেন কেসিআর। রবিবারই নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন কংগ্রেস নেতা রেবন্ত রেড্ডি।
২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আলাদা হয়ে নতুন রাজ্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল তেলঙ্গানা। সে রাজ্যের প্রথম বিধানসভা ভোটে তাঁর দল জেতার পর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কেসিআর। ২০১৮ সালের ভোটেও মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ফিরেছিলেন তিনি। তবে ‘হ্যাট্রিক’ করতে পারলেন না ২০২৩-এ। রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খড়্গের ডাকে সাড়া দিয়ে এ বার কংগ্রেসকে জিতিয়েছেন তেলঙ্গানার বাসিন্দারা। সেখানে মোট ১১৯টি আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস ৬৪টি আসন জিতেছে। বিআরএস জিতেছে ৩৯টি আসনে।