Narendra Modi

ভোটমুখী রাজ্যে মোদীর আগে ইডি পৌঁছয়, বাচ্চারাও এটা জানে! কটাক্ষ কেসিআর-কন্যা কবিতার

আগামী বছর তেলঙ্গানায় বিধানসভা ভোট। তার আগে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন কেসিআর-কন্যা কবিতা। তাঁর দাবি, ভোটমুখী রাজ্যে মোদীর আগে ইডি চলে আসে!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:০২
Share:

ভোটমুখী রাজ্যে মোদীর আগে ইডি আসে! কটাক্ষ কেসিআর-কন্যা কবিতার। — ফাইল ছবি।

কেন্দ্রীয় এজেন্সির ‘অপব্যবহার’-এর অভিযোগে এ বার মোদীকে সরাসরি আক্রমণে নামল তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। তার পুরোভাগে রয়েছেন কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতা। সম্প্রতি দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে ইডির রিপোর্টে নাম মিলেছে কবিতার। তার পরই তিনি মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘প্রতিটি শিশু জানে, ভোটমুখী রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর আগে ইডি আসে!’’

Advertisement

তেলঙ্গানার জনপ্রতিনিধি তথা মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা তার পর সরাসরি মোদীকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘আমাদের সবাইকে জেলে ভরে দিন। তবুও আমাদের আটকাতে পারবেন না। জেল থেকেই মানুষের জন্য কাজ করে যাব। খোলা চ্যালেঞ্জ রইল।’’ তাঁর অভিযোগ, ২০২৩-এর ভোটের আগে বিজেপি সস্তা রাজনীতি করছে।

তিনি বলেন, ‘‘মোদী সরকার আট বছর আগে ক্ষমতায় এসেছে। এই আট বছরে নয় রাজ্যে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকার ফেলে দিয়ে বিজেপি সরকার গড়েছে। প্রতিটি বাচ্চা জানে, ভোটমুখী রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর আগে ইডি আসে।’’ কবিতা সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘‘আমাদের আটকানোর সাধ্য বিজেপির নেই। জেলে ভরে দিলেও আমরা মানুষের জন্য কাজ করে যাব এবং বিজেপির স্বরূপ উন্মোচিত করে যাব।’’ তেলঙ্গানায় সরকার কেমন চলছে, এই প্রশ্নের উত্তরে কবিতা বলেন, ‘‘তেলঙ্গানায় টিআরএস সরকার খুব ভাল চলছে। আমরা এখানেও বিজেপির সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র ধরে ফেলেছি। মানুষ তার সাক্ষী।’’

Advertisement

তাঁর নাম ইডির রিপোর্টে দেখা যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তেলঙ্গানায় ভোট আসছে। তাই মোদী প্রচারে নামার আগেই এসে পড়েছে ইডি!’’ তবে ইডির তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে।

কয়েক জন টিআরএস বিধায়ককে কোটি কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে তেলঙ্গানায় সরকার ফেলার চক্রান্ত করেছিল বিজেপি। এই অভিযোগে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। সেই মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন।

প্রসঙ্গত, শুধু তেলঙ্গানাই নয়, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের চাপে ফেলার অভিযোগ উঠেছে অন্যান্য বিরোধী শাসিত রাজ্য থেকেও। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং কংগ্রেসও একই অভিযোগে বার বার সরব হয়েছে। এ বার ভোটমুখী তেলঙ্গানাতেও একই অভিযোগ উঠতে শুরু করল। বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ কখনওই মানেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement