মোদীর সঙ্গে কেসিআরের যোগাযোগের অভিযোগ রাহুলের। ফাইল চিত্র।
প্রকাশ্যে লড়াইয়ের ভান করলেও গোপনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)। মঙ্গলবার রাতে হায়দরাবাদের জনসভায় এই অভিযোগ করে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘মোদীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে কেসিআরের।’’ তেলঙ্গানার রাজধানী শহরে কংগ্রেসের ওই জনসভায় হাজির ছিলেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও।
আগামী বছর তেলঙ্গানায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার পরের বছর লোকসভা ভোট। গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক ভাবে বিজেপিকে আক্রমণ করছেন কেসিআর। বিধায়ক কিনে পদ্ম-শিবির তাঁর সরকারের পতন ঘটাতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনেরও সওয়াল করেছেন।
কিন্তু কেসিআরের দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) সঙ্গে কংগ্রেসের কোনওরকম সমঝোতা হবে না বলে সোমবার জানিয়ে দেন রাহুল। রাহুল ভারত জোড়ো যাত্রায় তেলঙ্গানায় বলেন, ‘‘আমরা টিআরএসের দুর্নীতি, কাজকর্মের দোসর হতে পারি না। টিআরএস তেলঙ্গানার মানুষকে লুট করছে। দলিত-আদিবাসীদের জমি ছিনিয়ে নিচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থার বেসরকারিকরণ করছে। আমরা তার বিরুদ্ধে।’’
ঘটনাচক্রে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সরাসরি কেসিআরের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ তুললেন তিনি। কংগ্রেস নেতাদের অনেকের মতে, কেসিআর রাজ্যে নিজের প্রশাসনিক ব্যর্থতাকে ঢাকতে জাতীয় স্তরে বড় ভূমিকা নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই লক্ষ্যেই তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির নাম বদলে ভারত রাষ্ট্র সমিতি করতে সক্রিয় হয়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির হয়েই মাঠে নেমে বিরোধী জোট ঘেঁটে দিতে তিনি সক্রিয় হতে পারেন বলেও কংগ্রেস শিবিরে আশঙ্কা রয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার একটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। কংগ্রেসের এক বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সেখানে ভোট হচ্ছে। কংগ্রেসের দাবি, জয়ের সম্ভাবনা না থাকলেও বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই সেখানে প্রার্থী দিয়েছেন কেসিআর।
মঙ্গলবার ভারত জোড়ো যাত্রা হায়দরাবাদের চার মিনারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাহুল। তিনি মনে করিয়ে দেন, ১৯৯০ সালে এই চার মিনার থেকেই প্রয়াত রাজীব গান্ধী ‘সদ্ভাবনা যাত্রা’ শুরু করেছিলেন।