গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কাঠুয়ায় নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করল পঠানকোটের বিশেষ আদালত। এই ঘটনায় প্রাক্তন সরকারি অফিসার সঞ্জি রাম-সহ মোট সাত জন অভিযুক্ত ছিলেন। তথ্যপ্রমাণের অভাবে তাঁদের মধ্যে এক জনকে আদালত বেকসুর খালাস করেছে।
আজ, সোমবারই দোষীদের সাজা ঘোষণা করতে পারে আদালত। দোষীদের কমপক্ষে যাবজ্জীবন এবং সর্বাধিক মৃত্যুদণ্ডের সাজা হতে পারে। গত ৩ জুন জেলা-দায়রা আদালতে এই মামলার শুনানি শেষ হয়। এই মামলার শুনানি হয় গোপনে।
২০১৮-র ১০ জানুয়ারি যাযাবর সম্প্রদায়ের এক নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়। জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় একটি মন্দিরে আটকে রেখে, মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ করা হয়। এর পর শ্বাসরোধ করে, মাথা থেঁতলে খুন করা হয়। ১৭ জানুয়ারি জঙ্গল থেকে ওই নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘শয়তান ঢুকেছে’ সন্দেশখালিতে, আতঙ্কে পালাচ্ছে মানুষ
আরও পড়ুন: প্রদীপের বাড়ির সামনে চাপ চাপ রক্ত, পড়ে রয়েছে বুলেটের খোল, ১৪৪ ধারা জারি
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। প্রবল চাপের মুখে পড়ে তদন্তভার দেওয়া হয় ক্রাইম ব্রাঞ্চকে। তদন্তে নেমে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টর এবং এক হেড কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারী অফিসাররা। রাজস্ব দফতরের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক সঞ্জি রাম ২০ মার্চ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। সঞ্জি রাম ছাড়াও এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় তার ছেলে বিশাল, তার ভাইপো, তার এক বন্ধু আনন্দ দত্ত এবং আরও দুই পুলিশ অফিসার দীপক খাজুরিয়া ও সুরেন্দ্র বর্মাকে।
ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছিলেন, যাযাবর সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করতেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করে অভিযুক্তরা।