আপত্তি জানাল নেপাল সরকার। প্রতীকী ছবি।
নেপালি তরুণদের অগ্নিপথ প্রকল্পে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নিয়োগের বিষয়ে আপত্তি জানাল কাঠমান্ডু। সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে সৌহার্দ্য যাত্রায় কাঠমান্ডু সফরে যাওয়ার ঠিক আগে নেপাল সরকারের এই সিদ্ধান্ত দিল্লির অস্বস্তি বাড়াল। নেপাল সরকার জানিয়েছে, ১৯৪৭ সালে নেপাল, ব্রিটেন ও ভারতের যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টের জন্য নেপালি তরুণদের নিয়োগ করা হয়, তার শর্তের সঙ্গে অগ্নিপথ-এর নিয়োগ-শর্ত মেলে না। তাই আপাতত নেপালি তরুণদের ভারতীয় বাহিনীতে মোতায়েন স্থগিত রাখা হল।
ভারত সরকার সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য যে অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করেছে, তাতে প্রশিক্ষণের পরে চার বছর অস্থায়ী ভাবে কাজ করার পরে নিযুক্ত তরুণদের সামান্য অংশকে স্থায়ী ভাবে বাহিনীতে নিযুক্ত করা হবে। গোর্খা রেজিমেন্টে অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের সবিস্তার জানিয়ে সপ্তাহ ছয়েক আগে ভারত নেপাল সরকারের সহযোগিতা চায়। বুধবার নেপালের বিদেশমন্ত্রী নারায়ণ খড়কা ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নবীন শ্রীবাস্তবের সঙ্গে দেখা করে এই পদ্ধতিতে নিয়োগের বিষয়ে তাঁদের আপত্তির কথা জানান। খড়কা জানিয়েছেন, প্রথমত এই পদ্ধতি ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে নিয়োগের শর্তকে মানছে না। দ্বিতীয়ত কুড়ির কোটায় বয়স এমন তরুণদের একটা বিরাট অংশ ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে কিছু টাকা হাতে কর্মহীন হয়ে ফিরে আসার পরে সমাজে তার কী প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়টি তাঁরা পর্যালোচনা করে দেখতে চান। বিষয়টি নিয়ে সব রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সরকার আলোচনা চায়। তার পরে তারা অগ্নিপথ-এ রাজি হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আগামী সপ্তাহে পাঁচ দিনের নেপাল সফরে যাবেন সেনাপ্রধান জেনারেল পাণ্ডে। নেপালের সেনাবাহিনীর সাম্মানিক জেনারেল উপাধি গ্রহণ করবেন তিনি। তার আগে অগ্নিপথ দু’দেশের মধ্যে নতুন মতভেদ তৈরি করল।