— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আবার ধর্ষণ ও খুন! ১৮ বছরের আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ কর্নাটকের বিদারে। বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে শহর জুড়ে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৯ অগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই তরুণী। গত ১ সেপ্টেম্বর গুণতীর্থওয়াড়িতে একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের কাছে ঝোপ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে খুনের মামলা রুজু হলেও পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ধর্ষণও করা হয়েছিল তাঁকে। এর পরেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।
ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় অভিযুক্তেরা জানিয়েছেন, ২৯ তারিখ ওই তরুণীকে অপহরণ করেন তাঁরা। এর পর তাঁকে ধর্ষণ করে তাঁদেরই এক জন। ঘটনার সময় কাছেই একটি গাড়িতে অপেক্ষা করছিলেন বাকিরা। এর পর তরুণীকে খুন করে তাঁরা পালিয়ে যান।
বিদারের পুলিশ সুপার প্রদীপ গুন্টে জানাচ্ছেন, মূল অভিযু্ক্ত মৃতা তরুণীর পূর্ব পরিচিত ছিলেন। তরুণী তফশিলি উপজাতিভুক্ত। তাঁর মাথায় ভারী কোনও বস্তুর আঘাতের চিহ্ন ছিল। সম্ভবত ধর্ষণের পরে ভারী পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে তাঁর। এখনও ঘটনার তদন্ত চলছে। তিন সদস্যের একটি দলও গঠন করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন কর্নাটকের মন্ত্রী ঈশ্বর খান্দ্রে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। রাজ্য সরকার মৃতার পরিবারকে চার লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করেছে। অন্য দিকে, ঘটনার প্রতিবাদে বিদারের রাস্তায় নেমেছেন বহু মানুষ। দীর্ঘ সময় রাস্তা অবরোধ করে ব্যানার ও প্লাকার্ড নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা।