লরেন্স ওয়াংয়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
দু’দিনের ব্রুনেই সফর শেষে সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে দেশের নয়া প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়াং এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রেসিডেন্ট থার্মান শন্মুগরত্নমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রী লি সিয়েন লুং, গোহ চোক টং এবং দেশের শিল্প-বাণিজ্য কর্তারাও।
বৈঠকে মোদী বলেন, ‘‘ভারত এবং সিঙ্গাপুর দুই দেশই অদূর ভবিষ্যতে আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাবে। সিঙ্গাপুর প্রতিটি উন্নয়নশীল দেশের কাছে অনুপ্রেরণা। আমরা ভারতে অনেক ‘সিঙ্গাপুর’ তৈরি করতে চাই।’’ বৃহস্পতিবার সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে অংশীদারিত্বের পাশাপাশি আলোচনা হয়েছে ডিজিটাল অর্থনীতি নিয়েও। সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপ্রধান এবং শিল্প-বাণিজ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সেমিকন্ডাক্টর, ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক চারটি মউ তথা সমঝোতা (এমওইউ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১০ বছরে দু’দেশের বিনিয়োগ প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। চালু হয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমে দ্রুত অর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের প্রথম ধাপে মঙ্গলবার ব্রুনেই পৌঁছন মোদী। সেখানে ব্রুনেইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বুধবার সিঙ্গাপুর যান মোদী। এক দশক আগে চালু হওয়া ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভিশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই দুই দেশ। সিঙ্গাপুরে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ভারতীয়ের বাস। ব্রুনেইতে সংখ্যাটা ১৪ হাজার। ব্রুনেই, সিঙ্গাপুর-সহ বৃহত্তর আসিয়ান অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক পোক্ত করতেই প্রধানমন্ত্রীর এই সফর।