বিজেপিকে হারানোর ‘পওয়ার-মন্ত্র’ দিলেন এনসিপি প্রধান। ফাইল চিত্র।
কর্নাটকের জয় থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সিপিআই নেতা ডি রাজার সঙ্গে বৈঠক করে এমনটাই জানালেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার। শনিবার কর্নাটকের বিধানসভার ফলাফল প্রকাশিত হয়। দক্ষিণের এই রাজ্যে ভরাডুবি হয় বিজেপির। তার পরের দিন রবিবারই মুম্বইয়ে নিজের বাসভবন সিলভার ওক-এ প্রবীণ বাম নেতা ডি রাজার সঙ্গে বৈঠকে বসেন পওয়ার। ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপির রাজনৈতিক বিকল্প কে বা কারা হবেন, তা নিয়ে দুই নেতার আলোচনা হয়।
কর্নাটক-জয়ের কৃতিত্ব কংগ্রেসকে দিলেও বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য সওয়াল করেন ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’। এ ক্ষেত্রে সব বিরোধী দলকে এক ছাতার তলায় এনে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি গ্রহণ করার পরামর্শ দেন পওয়ার। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “কর্নাটক আমাদের কাছে একটা বার্তা দিয়েছে। সে রাজ্যে কংগ্রেস একক শক্তিতে বিজেপির বিকল্প হয়ে উঠতে পেরেছে। কিন্তু অন্যান্য রাজ্যে সমমনোভাবাপন্ন দলগুলিও রয়েছে।” বিজেপিকে হারাতে একইভাবে যৌথ কর্মসূচি নেওয়ার কথা বলেন রাজাও।
বিরোধী জোট গঠনে আগেও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে। মাঝে অবশ্য কংগ্রেসকে এড়িয়েই অন্য বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন এনসিপি নেতা। হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের আবহে ‘বন্ধু’ গৌতম আদানির সঙ্গে বৈঠকও করেন। তারপর পওয়ারের ‘উদ্দেশ্য’ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু দলের সভাপতি পদ থেকে সরে গিয়ে, তিন দিন পর ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নিয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কাছে তো বটেই অন্য বিরোধী নেতাদেরও সহানুভূতি কুড়িয়ে নেন পওয়ার। ইতিমধ্যেই বিরোধী জোট গড়তে ময়দানে নেমেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এ ব্যাপারে আবারও সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন পওয়ারও।