প্রজ্বল রেভান্না। — ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবারই ভারতে ফেরার জন্য জার্মানি থেকে বিমানে উঠবেন প্রজ্বল রেভান্না। এক সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এমনই তথ্য জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও খবর সিট সূত্রে।
‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর পরই ভারত ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার পৌত্র তথা হাসান লোকসভা কেন্দ্রের জেডিএস প্রার্থী প্রজ্বল। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয় কর্নাটক সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানাও। এমনকি, প্রজ্বলের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার আবেদনও জানানো হয়েছিল বিদেশ মন্ত্রকের কাছে। ব্লু কর্নার নোটিসও জারি হয়।
সেই আবহেই দিন দুয়েক আগে হাসনের বিদায়ী সাংসদ প্রজ্বল জানান, তিনি ৩১ মে সকাল ১০টার সময় কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) সামনে হাজিরা দেবেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম, তাই নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমার রাজনৈতিক উত্থান সহ্য করতে না পেরে হাসানেরই কিছু শক্তি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।’’
কোথায় আছেন প্রজ্বল, তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারছেন না। তবে জার্মানিতে আছেন বলে একাধিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে। ভিডিয়োকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই নাকি কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে দেশ ছাড়েন প্রজ্বল। সূত্রের খবর, তিনি নাকি এর মধ্যে দু’বার জার্মানি থেকে দেশে ফেরার জন্য টিকিট কেটেও বাতিল করেছেন। তবে ৩০ মে নাকি জার্মানি থেকে বিমান ধরবেন প্রজ্বল। এ দিকে, বেঙ্গালুরুতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে গ্রেফতার করার প্রস্তুতিও শুরু করেছে সিট।
নাতিকে দেশে ফিরতে বার্তা দিয়েছিলেন দেবগৌড়া। জেডিএস সাংসদ দেবগৌড়া গত বৃহস্পতিবার জানান, তদন্তে যদি প্রজ্বল দোষী প্রমাণিত হন, তবে তাঁর কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। একই সঙ্গে প্রজ্বলকে ফিরে এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশও দেন তিনি।