Bajrang Dal

Bajrang Dal: গির্জায় হামলা, নীরব পুলিশ

বেলুরের ওই গির্জায় গত রবিবার যখন প্রার্থনা চলছিল সেই সময় বজরং দলের জনা পঁচিশ কর্মী-সমর্থক সেখানে চড়াও হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেলুর (কর্নাটক) শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

ধর্মান্তরণের অভিযোগ তুলে গত সপ্তাহে কর্নাটকের বেলুরে একটি গির্জায় হামলা চালায় বজরং দলের কিছু কর্মী সমর্থক। ওই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও হামলাকারীকে কর্নাটকের বিজেপি সরকারের পুলিশ গ্রেফতার করেনি। অভিযোগ উঠছে হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সব দেখেশুনে চোখ বুজে রয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

বেলুরের ওই গির্জায় গত রবিবার যখন প্রার্থনা চলছিল সেই সময় বজরং দলের জনা পঁচিশ কর্মী-সমর্থক সেখানে চড়াও হয়। সেখানে ঢুকে তারা ভাঙচুর শুরু করে। তারা অভিযোগ করতে থাকে, এই গির্জায় জোর করে ধর্মান্তরণ করা হয়েছে। হামলা চলাকালীন পুলিশে খবর দেন গির্জা কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, হামলাকারীদের আটক করার পরিবর্তে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের। গির্জায় হামলার ঘটনায় বজরং দলের
পাঁচ কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।

গির্জার সদস্যেরা ধর্মান্তরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। হামলার সময় গির্জায় উপস্থিত সুনীতা নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘জোর করে ধর্মান্তরণের প্রশ্ন উঠছে কেন? আমি ধর্মে বিশ্বাস রাখি এবং খ্রিস্টান হতে চেয়েছিলাম। এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং অধিকারও বটে। গত পাঁচ বছর ধরে আমি এই গির্জায় প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করি। ধর্মান্তরণের জন্য কেউ আমাকে জোর করেননি।’’

Advertisement

সুরেশ পল নামে গির্জার এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘এটা ধর্মান্তরণের জায়গা নয়। কোনও ধর্মান্তরণের ঘটনাও ঘটেনি। ওরা (বজরং দলের সদস্য) এসে প্রথমে হুমকি দিতে শুরু করল। তার পরে কয়েকজনকে হেনস্থা করার চেষ্টাও করেছিল।’’

গির্জায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের অবশ্য দাবি, তারা কোনও অন্যায় কাজ করেনি। তাদের অভিযোগ, ওই গির্জায় ধর্মান্তরণ হয়েছিল। হাসন জেলার বজরং দলের আহ্বায়ক মঞ্জুনাথ বলেন, ‘‘ওই গির্জায় ধর্মান্তরণ হচ্ছে বলে স্থানীয় লোকেরাই আমাদের খবর দিয়েছিল। আমরা সেখানে গিয়ে তার প্রতিবাদ করি। জোর করে ধর্মান্তরণের চেষ্টা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’’

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ না করায় প্রশ্নের মুখে পুলিশ প্রশাসন। কেন পদক্ষেপ করা হয়নি সে ব্যাপারে অবশ্য জেলা পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি। জেলার পুলিশ সুপার শ্রীনিবাস গৌড় বলেন,‘‘ এলাকায় যাতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা না ছাড়ায় সেই জন্য দু’পক্ষকে ডেকে কথা বলা হয়েছে। এলাকায় শান্তি কমিটি বৈঠকও করেছে। উভয় পক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আর উত্তেজনার কোনও ঘটনা ঘটবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement