বিজেপি নেতা কে এস ঈশ্বরাপ্পা। ফাইল চিত্র।
টিকিট পাননি তিনি। উল্টে দলের নির্দেশে নির্বাচনী রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি নেতা কে এস ঈশ্বরাপ্পা। চেয়েছিলেন তাঁর পরিবর্তে ছেলে কান্তেশকে টিকিট দিক দল। হয়নি সেটাও। তা সত্ত্বেও যে ভাবে ঈশ্বরাপ্পা দলের প্রচারে অংশ নিচ্ছেন, তা দৃষ্টান্তমূলক বলে মনে করে আজ কর্নাটকের ওই নেতাকে উৎসাহ দিতে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসের অভিযোগ, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়া গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পাকে ফোন করে আখেরে দুর্নীতি ও দুর্নীতিগ্রস্তদের উৎসাহ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
হিমাচল প্রদেশের মতো কর্নাটকেও প্রার্থী ঘোষণার পরে দল ছাড়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছে বিজেপিতে। ব্যতিক্রম ঈশ্বরাপ্পা। আজ তাই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে বলেন, “আপনি দলের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাই আপনার সঙ্গে কথা বলব বলে ঠিক করি। ভবিষ্যতে যখনই কর্নাটক যাব, আপনার সঙ্গে দেখা করব।” জবাবে ঈশ্বরাপ্পা জানান, তাঁর স্থির বিশ্বাস বিজেপি কর্নাটকে জিতবে। অতীতে হিমাচলে এ ভাবে টিকিট না পাওয়া বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা কৃপাল পারমারকে ফোন করেছিলেন মোদী। তাঁকে দলের বিরুদ্ধে লড়তে বারণ করলেও, পারমার তা শোননি। এ যাত্রায় ঈশ্বরাপ্পা অবশ্য বিদ্রোহের পথ নেননি।
যদিও মোদীর ওই উদ্যোগ আসলে ‘দুর্নীতিগ্রস্তদের হাতকে মজুবত করছে’ বলে সরব হয়েছে কংগ্রেস। অভিযোগ, সরকারি প্রকল্পের ৪০ শতাংশ অর্থ ঘুষ চাওয়ার জন্য কুখ্যাত প্রাক্তন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পা। তাঁর দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন সন্তোষ পাটিল নামে এক ঠিকাদার। পরে চাপে পড়ে আত্মহত্যা করেন সন্তোষ। সেই কারণে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে হয় ঈশ্বরাপ্পাকে। মূলত তাঁর বিরুদ্ধে থাকা মানুষের ক্ষোভ ও প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কারণে এ যাত্রায় তাঁকে বা তাঁর ছেলেকে টিকিট না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিজেপি নেতৃত্ব। কংগ্রেসের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী সেই দুর্নীতিগ্রস্ত ঈশ্বরাপ্পার প্রশংসা করে কি বার্তা দিলেন যে তিনি ও তাঁর দল দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজের পক্ষে? এই কারণে সন্তোষ পাটিলের মৃত্যুর পরে কর্নাটকের ঠিকাদার সংগঠন ৪০ শতাংশ ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিঠি লেখা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীকে তা নিয়ে উচ্চবাচ্য করতে শোনা যায়নি।