গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
ভবিষ্যতে কখনও তেরঙ্গাকে হঠিয়ে গৈরিক পতাকা হয়ে উঠতে পারে ভারতের জাতীয় পতাকা। বলছেন, কর্নাটকের প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের গ্রামীণ বিকাশ ও পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা। যদিও এখন যে তেরঙ্গা পতাকা জাতীয় পতাকা হিসেবে আছে, তাকে সম্মান করার কথাও শোনা গিয়েছে মন্ত্রীর মুখে।
সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, লালকেল্লায় কি কখনও গৈরিক পতাকা তোলা হবে? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এখনই নয়, ভবিষ্যতে কোনও দিন।’’ তার পরই বিজেপি নেতার সংযোজন, ‘‘দেশে হিন্দু বিচার ও হিন্দুত্ব নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। একটা সময় ছিল, যখন আমরা বলতাম, অযোধ্যায় রামমন্দির হবে। তখন মানুষ আমাদের কথা শুনে হাসতেন। আজ সেখানে বিরাট মন্দির তৈরি হচ্ছে। ঠিক সে ভাবেই ভবিষ্যতে কোনও দিন, হয়তো ১০০, ২০০ বা ৫০০ বছর পর গেরুয়া পতাকা জাতীয় পতাকা হবে।’’ কেন তিনি এ কথা বলছেন, তার যুক্তিও দিয়েছেন বিজেপি নেতা। তাঁর মতে, ‘‘কয়েক শো বছর আগে রামচন্দ্রের রথের উপর গেরুয়া পতাকাই উড়ত। তখন কি আমাদের দেশে তেরঙ্গা পতাকা ছিল? এখন হয়েছে।’’ পাশাপাশি কর্নাটকের মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘সংবিধান যে হেতু তিরঙ্গাকেই জাতীয় পতাকার মর্যাদা দিয়েছে, তাই তাকে সকলের সম্মান করতে হবে। যে জাতীয় পতাকাকে সম্মান করবে না, সে দেশদ্রোহী।’’
কর্নাটক বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি বলেন, ‘‘হয়তো আজই নয়, কিন্তু কোনও এক দিন এই দেশে হিন্দুধর্ম বিরাজ করবে। সেই সময় লালকেল্লায় আমরা গৈরিক পতাকা তুলব। যত দিন তা হচ্ছে না, তিরঙ্গাই আমাদের জাতীয় পতাকা। আমরা তাকেই সম্মান করব।’’
বিতর্কের সূত্রপাত, কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমারের একটি দাবিকে ঘিরে। তাঁর দাবি ছিল, শিবমোগার একটি সরকারি কলেজে হিজাব বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা জাতীয় পতাকা খুলে তাতে গৈরিক পতাকা উত্তোলন করেছে। শিবকুমারের অভিযোগ খারিজ করতে গিয়েই এই মন্তব্য করেন ঈশ্বরাপ্পা।