Karnataka Farmer

খরাদীর্ণ কর্নাটকে অদ্ভুত দৃশ্য, শুকিয়ে যাওয়া নদীকে ‘বাঁচাতে’ নিজের কুয়ো থেকে জল দিলেন কৃষক!

রাজ্যের হাভেরি জেলার সাঙ্গুরু গ্রাম। সেই গ্রামেরই কৃষক ভুবনেশ্বর শিদলাপুর। এই গ্রামেই তাঁর ৩০ একর জমি রয়েছে। তাতে আখ, ভুট্টা এবং নানা রকম সব্জির চাষ করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৪ ১৫:০৪
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

জলসঙ্কটে ভুগছে গোটা কর্নাটক। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বেঙ্গালুরুর। খরাদীর্ণ এই পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের ছোট ছোট জলাশয় এবং নদীগুলিও শুকিয়ে যাচ্ছে। যেখানে সবাই একটু জলের জন্য মারমারি করছেন, হাপিত্যেশ করছেন, সেখানে ধরা পড়ল এক অদ্ভুত দৃশ্য। শুকিয়ে যাওয়া একটি নদীকে ‘বাঁচাতে’ উদ্যোগী হলেন এক কৃষক।

Advertisement

রাজ্যের হাভেরি জেলার সাঙ্গুরু গ্রাম। সেই গ্রামেরই কৃষক ভুবনেশ্বর শিদলাপুর। এই গ্রামেই তাঁর ৩০ একর জমি রয়েছে। তাতে আখ, ভুট্টা এবং নানা রকম সব্জির চাষ করেন। তিনটি নলকূপ রয়েছে সেই জমিতে। ভুবনেশ্বরের জমি থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে বরাদা নদী। তুঙ্গভদ্রার শাখা নদী। হাভেরি জেলার জলের অন্যতম আধার এই নদী। চাষের জন্য এই নদীর জল ব্যবহার করা হয়। স্থানীয়রাও নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে এই নদীর জলই ব্যবহার করেন। কিন্তু গরমের দাপটে নদীটি শুকিয়ে যাওয়ায় মহা সমস্যায় পড়েছে সাঙ্গুরু গ্রামের মানুষ।

সেই সমস্যা দূর করতে একাই উদ্যোগ নেন ভুবনেশ্বর। তাঁর দাবি, গত ২৫ বছরে রাজ্যের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেননি। তাই নদীকে বাঁচাতে ভুবনেশ্বর নিজের একটি নলকূপকেই কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন। নদীতে জলের ধারা অব্যাহত রাখতে নিজের একটি নলকূপ থেকে নদীতে জল সরবরাহ করে চলেছেন। তাঁর কথায়, “জেলার বেশির ভাগ জলাশয় শুকিয়ে গিয়েছে জানুয়ারির গোড়াতেই। তিনটি নলকূপের মধ্যে দু’টি চাষের কাজে ব্যবহার করি। তৃতীয় নলকূপটির জল তাই নদীতে সরবরাহ করছি।” জেলা প্রশাসনের কাছেও তিনি আবেদন করেছেন যাতে, দিনে ৬ ঘণ্টা টানা নদীতে জল সরবরাহ করতে পারেন, তার জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement