ধুবুলিয়ার মাঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্র। ছবি: ফেসবুক।
মহুয়া মৈত্রকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানালেন মমতা। জনতার উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, ‘‘মহুয়াকে জেতাবেন। আপনারা জেতানোর পরেও ওকে তাড়িয়ে দিয়েছে। ওকে জেতালে ও যোগ্য জবাব দিতে পারবে। বিজেপির মুখোশ টেনে ছিঁড়ে দিতে পারবে।’’
‘বাংলায় আমরা একা চলছি, একাই চলব’, ধুবুলিয়ার সভা থেকে বলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ইন্ডিয়া’ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি। কংগ্রেস, সিপিএমকে তাঁর পরামর্শ, ‘‘দেশে একজোট হয়ে লড়াই করো, কিন্তু বাংলায় সে কথা ভেবো না।’’
অরবিন্দ কেজরীওয়াল নিয়ে ধুবুলিয়ার মঞ্চ থেকে মোদী সরকারকে আক্রমণ করলেন মমতা। বললেন, ‘‘অরবিন্দকে আটকে রেখেছে। ওঁর কাজ কি বন্ধ রাখতে পেরেছে?’’
ধুবুলিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
ভোট প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাওয়ার পরেও কেন নোটিস পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা? প্রশ্ন তুললেন মমতা।
পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কথা বললেন মমতা। বাইরে কাজ করতে গিয়ে কেউ বিপদে পড়লে, অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই কার্ডে সাহায্য পাবেন তাঁরা।
কৃষ্ণনগরের ‘রাজমাতা’ বিজেপি প্রার্থীকে কটাক্ষ করলেন মমতা। ইতিহাস তুলে ধরে বললেন, ‘‘ইতিহাস টেনে আনলে আপনারা বিপদে পড়ে যাবেন। ইতিহাস মানুষের ভাল করে জানা দরকার। কে রাজমাতা? কোথাকার রাজমাতা? আমরা সবাই রাজা।’’
ধুবুলিয়ার মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্র। ছবি: সংগৃহীত।
ভোটে জয় নিয়ে যদি বিজেপি নিশ্চিত থাকে, তা হলে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগগুলিকে বাংলায় পাঠানো হচ্ছে কেন? ধুবুলিয়া থেকে প্রশ্ন মমতার।
লক্ষ্মীর ভান্ডারকে ‘চিরস্থায়ী’ বললেন মমতা। ৬০ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পরেও মহিলারা সারা জীবন এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বলে জানালেন।
মহুয়ারে লোকসভা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ ও জোরে জোরে কথা বলত। বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলত। ওকে আবার জেতাবেন মানুষ।
সিএএ মাথা। ল্যাজা হল এনআরসি। সিএএ করলেই এনআরসিতে পড়ে যাবেন। বিজেপি নেতারা কেন সিএএ-তে আবেদন জানাচ্ছেন না? করলেই বিদেশি হয়ে যাবেন।
ভোটের আগে ইডি, সিবিআই, আয়করের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতার বিরুদ্ধে ধুবুলিয়ার মঞ্চ থেকে সরব হলেন মমতা।
বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ নেই। জোট হয়নি বলে জানালেন মমতা। তাঁর দাবি, সিপিএম, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অর্থ বিজেপিকেই ভোট দেওয়া। নাম না করে আইএসএফকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। বলেন, ‘‘ইন্ডিয়া’ নাম আমারই দেওয়া। বাংলায় জোট হয়নি। ভোটের পর ওটা আমি দেখে নেব।’’
ধুবুলিয়ার সুকান্ত স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে মঞ্চে উঠেছেন মমতা। উপস্থিত রয়েছেন মহুয়া মৈত্র-সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
হেলিকপ্টারে ধুবুলিয়ার মাঠে পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সভাস্থলে পৌঁছেছেন তিনি।
হেলিকপ্টারে ধুবুলিয়ার মাঠে পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
রবিবার ভোরে কৃষ্ণনগরের কিছু এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। তাতে ধুবুলিয়ার মাঠে মমতার সভামঞ্চ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মঞ্চ মেরামতির কাজ চলছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চ কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্ত। —নিজস্ব চিত্র।
ডুমুরজোলায় হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডের বাইরে ড্রেনেজ ক্যানেল রোডে দলনেত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। মমতাকে দেখে তাঁরা শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান। তাঁদের দিকে হাত নেড়ে উৎসাহ দেন মমতা।
হাওড়ার ডুমুরজোলা থেকে কৃষ্ণনগরের উদ্দেশে রওনা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডুমুরজোলার হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে উঠেছেন তিনি।
ডুমুরজোলার হেলিপ্যাড থেকে রওনা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
গত ১৪ মার্চ কালীঘাটের বাড়িতে পড়ে গিয়ে কপালে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। নেত্রীর কপালের আঘাত নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছিল। তাঁকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। শেষ পর্যন্ত চোট সারিয়ে ভোটের মাঠে নামছেন মমতা। আঘাত পাওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম সভা।
সাংসদ পদ খারিজ হলেও মহুয়ার পাশেই ছিলেন মমতা। বিতর্ক সত্ত্বেও তৃণমূলের প্রার্থী যে ফের মহুয়া হচ্ছেন, তা নিয়ে কোনও রহস্য ছিল না। গত নভেম্বরে নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘এদের (বিজেপি) কী বুদ্ধি! মহুয়াকে ভোটের তিন মাস আগে তাড়াচ্ছে। আরে ও তো আবার ভোটে জিতবে।’’ সে দিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, কৃষ্ণনগরে প্রার্থী হচ্ছেন মহুয়াই।