‘জন-গণ-মন যাত্রা’ শুরু করার আগেই গ্রেফতার কানহাইয়া কুমার।—ছবি টুৃইটার।
প্রশাসন সমস্ত ভারতীয়ের কাছে নাগরিকত্বের প্রমাণ চাইছে। অথচ তাঁকে আটক করতে এসে পুলিশ কোনও নির্দেশের কাগজ দেখাতে পারছে না। বিহারের চম্পারণে আজ কানহাইয়া কুমার যখন ভিড়ের সামনে এই কথাগুলো বলছেন, তখন তাঁর ঠিক পিছনে দাঁড়ানো দুই পুলিশকর্মীর মুখে অপ্রস্তুত হাসি।
নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র বিরুদ্ধে এক মাসের ‘জন-গণ-মন যাত্রা’ শুরু করতে আজ গাঁধীর প্রয়াণ দিবসে চম্পারণের ভিতিহরবা গাঁধী আশ্রমে এসেছিলেন কানহাইয়া। সিপিআইয়ের এই তরুণ নেতা এবং আরও কয়েক জনকে সেখানেই হেফাজতে নেয় পুলিশ। টুইটারে সেই কথা জানিয়ে কানহাইয়া নিজেই ওই মুহূর্তের ভিডিয়ো শেয়ার করেন। সেখানে জমায়েতকে উদ্দেশ করে তাঁকে বলতে শোনা যায়— ‘‘গাঁধী বলেছিলেন, কোনও মানুষের সঙ্গে বৈষম্য হবে না। আজ এখানে গাঁধীজি এবং মাতা কস্তুরবার মূর্তিতে মালা দিয়ে আমাদের বেতিয়া যাওয়ার কথা ছিল। সেখানকার কর্মসূচি সেরে যাওয়ার কথা ছিল মতিহারি। কিন্তু আশ্চর্যের কথা এই যে, এখন পুলিশ বলছে, কাল রাতে আপনাদের (কর্মসূচির) অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।’’ কানহাইয়া এই কথা বলা মাত্র জমায়েতে স্লোগান ওঠে, ‘‘ডিএম-প্রশাসন মুর্দাবাদ।’’ কানহাইয়া বলেন, ‘‘প্রশাসনকে মুর্দাবাদ বলে কিছু হবে না, কারণ প্রশাসনকে সরকারের কথা শুনতে হয়। হতে পারে কিছু দিন পরে এঁরা বলবেন, শ্বাস নেওয়ারও অনুমতি নেই।’’ সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে কানহাইয়া শান্ত করেন তাঁদের। এর পরে পিছনে দাঁড়ানো দুই পুলিশের সঙ্গে কিছু কথা বলেন সিপিআই নেতা। তখনও হাসতে দেখা যায় পুলিশদের। কানহাইয়া তখন বলেন, ‘‘পুলিশ বলছে আমাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। যত পুলিশ আছে, তার চেয়ে বেশি সংখ্যায় আমরা আছি। আমরা আইন-মানা লোক।’’
কর্মসূচি আটকে যাওয়ায় এর পরে গাঁধী আশ্রমের বাইরেই শান্তিপূর্ণ অবস্থান শুরু করেন কয়েকশো লোক। কানহাইয়াদের গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। টুইটারে কানহাইয়া লিখেছেন, ‘‘দম হ্যায় কিতনা দমন মে তেরে, দেখ লিয়া হ্যায় দেখেঙ্গে... জগাহ হ্যায় কিতনি জেল মে তেরে, দেখ লিয়া হ্যায় দেখেঙ্গে।’’