আতঙ্কে কোচের বাড়ির দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে হয়েছে বলে দাবি কলেজছাত্রীর। প্রতীকী ছবি।
অনুশীলনের শংসাপত্র দেওয়ার অছিলায় নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন কোচ। আতঙ্কে পালাতে গিয়ে কোচের বাড়ির দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে হয়েছে। রবিবার রাতে থানায় গিয়ে মধ্যবয়সি কোচের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন তামিলনাড়ুর এক স্কোয়াশ খেলোয়াড়। ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে কাঞ্চীপুরমের ওই কোচকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কাঞ্চীপুরমের স্টেশন রোডের কাছে পেরারিগনর অন্না জেলা স্টেডিয়ামে প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন অভিযুক্ত। সেখানে স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ তামিলনাড়ুর পরিচালিত একটি কোর্সে স্কোয়াশের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ১৯ বছরের ওই কলেজছাত্রী। তাঁর অভিযোগ, রবিবার স্টেডিয়ামে গিয়ে অনুশীলন শেষের শংসাপত্র নিতে গেলে সেটি নিজের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করার কথা বলেন কোচ। স্টেডিয়ামের পাশেই কোচের বাড়ি থাকায় তাতে রাজি হয়ে যান তরুণী। তবে কোচের বাড়িতে গেলে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ করতে থাকেন তিনি। তাতে বাধা দেওয়ায় ধর্ষণের চেষ্টা করেন কোচ। কোনও রকমে দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন তিনি।
বিষ্ণো কাঞ্চী থানায় গিয়ে ৪৮ বছরের কোচের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী খেলোয়াড়। রবিবার রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কাঞ্চীপুরম পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ু প্রিভেনশন অফ উইমেন হ্যারাসমেন্ট অ্যাক্ট-এর ৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।