মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কমল নাথ। —ফাইল চিত্র।
মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। তার পরেই দলের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন কমল নাথ। বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তাঁর জায়গায় পরবর্তী সভাপতি কে হবেন, দল সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে গত রবিবার। মধ্যপ্রদেশে ২৩০টি আসেনর মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে মাত্র ৬৬টি আসনে। বিজেপি পেয়েছে ১৬৩টি আসন। এর পর মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে দেখা করেন কমল নাথ। দীর্ঘ ক্ষণ তাঁদের বৈঠক চলে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার বিষয়ে সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এ বার মধ্যপ্রদেশে কোনও তরুণ নেতাকে দায়িত্ব দিতে পারেন রাহুল গান্ধীরা।
সম্প্রতি কিছু কারণে কমল নাথের উপর কংগ্রেসের সর্বভারতীয় স্তরের নেতারা অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন বলে জল্পনা। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব এবং জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে আসন সমঝোতার বিষয়ে কমল নাথের মন্তব্য শীর্ষ নেতৃত্ব ভাল চোখে দেখেননি।
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের শোচনীয় ফলের পর দলীয় কর্মীদের সান্ত্বনা দিয়েছিলেন কমল নাথ। এই ফলাফলে ভেঙে না পড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। বরং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দিকে মন দিতে বলেছিলেন তিনি। লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে দলকে আবার শক্তিশালী করে গড়ে তোলার বিষয়ে আশাবাদী কমল নাথ। এ প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস কর্মীদের নতুন করে উজ্জীবিত করে তোলার জন্য ১৯৭৭ সালের লোকসভা নির্বাচনের দৃষ্টান্তও তিনি টেনেছিলেন। সে বারও কংগ্রেস মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কিন্তু তিন বছরের মধ্যে পূর্ণ শক্তি নিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধীরা। সে কথাই মনে করিয়ে দেন কমল নাথ।