বৃহস্পতিবার দুপুরে নন্দন চত্বর। —নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টিতে ভিজেছে শহর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এখনই বৃষ্টি থামার কোনও সম্ভাবনা নেই। তারই মাঝে চলচ্চিত্র উৎসবের তৃতীয় দিনে নন্দন চত্বরের পরিস্থিতি কী রকম?
(বাঁ দিকে ) ঢেকে দেওয়া হয়েছে একতারা মঞ্চ। বৃষ্টির জন্য অল্প ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে নন্দনে (ডান দিকে))। —নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার নন্দনে পৌঁছে দেখা গেল সিনেপ্রেমীদের ভিড় বেশ কম। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে সকলের হাতে ছাতা। জনৈক দর্শক বললেন, ‘‘ডিসেম্বর মাসেও যে ছাতা হতে ঘুরতে হবে ভাবিনি। কিন্তু ছবি তো দেখতেই হবে। তাই খুব বেশি ভাবছি না।’’ তবে সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে দর্শকাসন পূর্ণ। উৎসবে উপলক্ষে নন্দনে তৈরি হয়েছে একাধিক ‘সেলফি জোন’। তার মধ্যে কয়েকটির অল্প বিস্তর ক্ষতি হয়েছে বৃষ্টির জন্য। তবে কর্তব্যরত কর্মীরা অবশ্য দ্রুত তার মেরামত করে ফেলেন। সকাল থেকেই প্রথা মেনে একের পর এক সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দিয়েছেন কলাকুশলীরা।
বুধবার হঠাৎ বৃষ্টির জন্য বিকেলের সিনে আড্ডা নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করতে হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার আগে থেকেই প্রস্তুত উৎসব কর্তৃপক্ষ। একতারা মঞ্চে পৌঁছে দেখা গেল, সেখানে বড় বড় সাদা তাঁবু খাটানো হয়েছে। কর্তব্যরত এক কর্মী জানালেন, বৃষ্টির কথা ভেবেই আগাম প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা। উৎসবে সিনে আড্ডার তত্ত্বাবধানে থাকেন টলিউডের ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। সকাল থেকে দুর্যোগ দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন যে, বৃহস্পতিবারের সিনে আড্ডা বাতিল হতে পারে। আনন্দবাজার অনলাইনকে স্বরূপ বললেন, ‘‘কোনও প্রশ্নই নেই। আমরা সব দিক থেকে প্রস্তুত। আশা করছি, শ্রোতাদের একটা সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দিতে পারব।’’ বৃহস্পতিবার সিনে আড্ডার বিষয়, ‘‘বাংলা চলচ্চিত্রে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও লোকবাদ্যের ব্যবহার। উপস্থিত থাকার কথা পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ, গোকুল ঢাকি, গোপাল বর্মণ, সৌম্যজ্যোতি ঘোষ। সঞ্চালনায় থাকবেন পণ্ডিত দেবজ্যোতি বসু।