—ফাইল চিত্র।
বগলামুখী মন্দিরে যজ্ঞ করছেন বিজেপি নেতা তথা বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা গোপাল ভার্গব। বিজেপি নেতারা বলছেন, বগলামুখী হলেন ‘ক্ষমতার দেবী’। রাজ্যে কমল নাথের সরকারকে উৎখাতের জন্যই নাকি ওই উপাসনা! আজ রাত পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ রাজনীতির যা গতিপ্রকৃতি তাতে কমল নাথ সরকারের উপর থেকে সঙ্কটের ছায়া কেটে গিয়েছে, তা হলফ করে বলতে পারছেন না কেউ। কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়েছে দলীয় বিধায়ক হরদীপ সিংহ ডঙ্গের পদত্যাগ।
আজ সকালে সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, অধীর চৌধুরী, জয়রাম রমেশরা একযোগে অভিযোগ করলেন, বিজেপি ১৪ জন বিধায়ককে ‘অপহরণ’ করেছিল। তাঁদের মধ্যে ১০ জন ফিরে এসেছেন। বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই যেনতেন প্রকারে বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলি দখল করছে। আর তা হয়েছে কখনও রাজ্যপালকে দিয়ে, কখনও সিবিআই-ইডি-আয়করের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে। তবে এ বারে বিজেপির ‘ষড়যন্ত্র’ সফল হবে না।
আজ রাত পর্যন্ত কংগ্রেসের তিন এবং এক নির্দল বিধায়ক ফেরেননি ভোপালে। এর মধ্যেই বিধায়ক পদ ছেড়েছেন কংগ্রেসের হরদীপ। তাঁর অভিযোগ, তিনি কমল নাথ, দিগ্বিজয় সিংহ কিংবা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া— কারও শিবিরেই নেই। তিনি কংগ্রেসের শিবিরে। সে কারণে দলে তাঁর কথা কেউ শোনেন না। বিধায়কের পদত্যাগ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ বলেন, ‘‘ইস্তফার কথা শুনেছি। হাতে কোনও কিছু পাইনি। না-দেখে কোনও মন্তব্য করব না।’’ কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, সঠিক পদ্ধতি মেনে ইস্তফা দেননি হরদীপ। ফলে তা গ্রাহ্য হবে না।
বিজেপির ‘দখলদারি’
অরুণাচল প্রদেশ
• কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও রাজ্যপাল সরকার ফেলে দেন। রেস্তরাঁয় নতুন স্পিকার বাছাই।
মণিপুর
• কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও রাজ্যপাল বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীকে শপথ
বাক্যপাঠ করান।
গোয়া
• কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়া সত্ত্বেও, রাজ্যপাল ডাকেন বিজেপিকে।
জম্মু-কাশ্মীর
• কংগ্রেস-পিডিপি-এনসি-কে রুখতে রাজ্যপালের শাসন জারি কেন্দ্রের।
কর্নাটক
• কংগ্রেস-জেডিএস-এর সংখ্যাগরিষ্ঠতা উপেক্ষা করেন রাজ্যপাল,
শপথ বিজেপির।
মহারাষ্ট্র
• সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-থাকলেও রাতারাতি বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর শপথ, পরে সেই সরকারের পতন।
অরুণাচল প্রদেশ
• কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও রাজ্যপাল সরকার ফেলে দেন। রেস্তরাঁয় নতুন স্পিকার বাছাই।
মণিপুর
• কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও রাজ্যপাল বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীকে শপথ
বাক্যপাঠ করান।
গোয়া
• কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়া সত্ত্বেও, রাজ্যপাল ডাকেন বিজেপিকে।
জম্মু-কাশ্মীর
• কংগ্রেস-পিডিপি-এনসি-কে রুখতে রাজ্যপালের শাসন জারি কেন্দ্রের।
কর্নাটক
• কংগ্রেস-জেডিএস-এর সংখ্যাগরিষ্ঠতা উপেক্ষা করেন রাজ্যপাল,
শপথ বিজেপির।
মহারাষ্ট্র
• সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-থাকলেও রাতারাতি বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর শপথ, পরে সেই সরকারের পতন।
‘ফিরে আসা’ এসপি এবং বিএসপি-র বিধায়কেরা বলেছেন, ‘‘কমল নাথের সঙ্গে আছি। সরকারের বিপদ কংগ্রেসের থেকেই। বিজেপি কেনাবেচার চেষ্টা করেনি। যদি কংগ্রেস দাবি করে, তারা আমাদের ফিরিয়ে এনেছে, তা হলে নিজেদের বিধায়কদের ফেরাতে পারছে না কেন?’’
মধ্যপ্রদেশের এক মন্ত্রী গতকাল বলেছিলেন, এ লড়াই আসলে কংগ্রেসের অন্দরের। মধ্যপ্রদেশে তিনটি রাজ্যসভার আসন ফাঁকা হচ্ছে। তার মধ্যে দু’টি বিজেপির, একটি কংগ্রেসের দিগ্বিজয়েরই। অথচ নির্বাচনে কংগ্রেসের দু’টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দিগ্বিজয় চান না, সেই আসন জ্যোতিরাদিত্য পান। তাঁকে রুখতেই ‘অপহরণ’-এর চিত্রনাট্য রচনা করেছেন দিগ্বিজয়।
এআইসিসি-র এক নেতার মতে, এ বার কংগ্রেস যে ক’টি আসন পাবে, তাতে কিছু নবীন মুখকে শামিল করতে চান রাহুল গাঁধী। একসময় রাহুলের ‘গুরু’ বলে পরিচিত দিগ্বিজয়ের এই খেলা তাঁর পছন্দ হয়নি। ওই নেতার দাবি, ‘‘এখন দেখার, দিগ্বিজয় শেষপর্যন্ত প্রার্থী হন কি না। কারণ, সনিয়া গাঁধী ও দলের প্রবীণ নেতাদের উপরেও সেটি অনেকটা নির্ভর করবে। কমল নাথ সরকারের সঙ্কটে নেই। একবার রাজ্যসভার প্রার্থী চূড়ান্ত হলেই বিবাদ মিটে যাবে।’’