কল্যাণ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য গঠিত ট্রাস্টে এ বার অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) থেকে কাউকে সদস্য করার দাবি উঠল। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে সম্প্রতি পটনার বাসিন্দা, তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত কামেশ্বর চৌপলের নাম ওই ট্রাস্টের সদস্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তার পরই অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি থেকে কাউকে ওই ট্রাস্টের সদস্য করার দাবি তুলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা কল্যাণ সিংহ।
কল্যাণ সিংহের দাবি, দলিতদের মতো ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষও ভাগবান রামের ভক্ত। তাই রাম মন্দির ট্রাস্টে তাঁদেরও একজন প্রতিনিধিকে রাখতে হবে। একটি সর্বভাবরতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘প্রশংসাযোগ্য কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে অভিনন্দন। ওঁদের জন্যই এ জীবনে রামমন্দির দেখার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। তবে শুধুমাত্র দলিতরাই নন। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষও ভগবান রামের ভক্ত। মন্দিরের ট্রাস্টে তাঁদেরও রাখা হোক।’’
ট্রাস্টের সদস্য হিসেবে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকদের একটি তালিকা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে সরকার। তাতে প্রবীণ আইনজীবী কে পরাশরণ-সহ নাম রয়েছে জগৎগুরু শঙ্করাচার্য, ইলাহাবাদের জ্যোতিষপীঠধীশ্বর স্বামী বাসুদেবানন্দ সরস্বতী, জগৎগুরু মাধবাচার্য স্বামী বিশ্ব প্রসন্নাতীর্থ, উদুপির পেজাবর মঠ, হরিদ্বারের যুগপুরুষ পরমানন্দজি মহারাজ, পুণের স্বামী গোবিন্দদেব গিরি এবং অযোধ্যার বিমলেন্দ্র মোহন প্রতাপ মিশ্র। এ ছাড়াও অছি পরিষদের সদস্য হিসাবে নাম রয়েছে মহন্ত দীনেন্দ্র দাস, নির্মোহী আখড়া এবং অযোধ্যা বৈঠক।
আরও পড়ুন: নির্ভয়া কাণ্ডের চার দণ্ডিতের ফাঁসি আলাদা ভাবে? মঙ্গলবার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক করে পড়েছিলেন সরকারি কোপে, চিনে মৃত্যু সেই ডাক্তারের
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় কল্যাণ সিংহের বিরুদ্ধেও মামলা চলছে। তবে তিনি রাম মন্দির ট্রাস্টে যোগ দিতে ইচ্ছুক কি না, সরাসরি তা প্রকাশ করেননি তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি যেমন আছি, ঠিক আছি।’’