তৃণমূলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত কাল মৌখিক ভাবে ক্ষমা চাওয়ার পরে এ বার লোকসভায় করা বেফাঁস মন্তব্যের জন্য লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মন্তব্যের জেরে স্পিকার ওম বিড়লা আজ নাম না করে কল্যাণের সমালোচনা করেন।
গত কাল লোকসভায় বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থাপনা বিল নিয়ে আলোচনার সময় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে একটি বেফাঁস মন্তব্য করেন কল্যাণ। পরে স্পিকারের নির্দেশে কার্যবিবরণী থেকে শব্দটি বাদ পড়ে। মন্তব্যটি নারীবিদ্বেষী, এই অভিযোগে কল্যাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিতে সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে আর্জি জানান বিজেপির মহিলা সাংসদেরা।
বিষয়টি নিয়ে জলঘোলার সম্ভাবনা থাকায় আজ সকালে স্পিকারের কাছে লিখিত ভাবে ক্ষমা চান কল্যাণ। পরে সকালে অধিবেশন শুরু হলে শাসক বেঞ্চের বেশ কিছু সাংসদ কল্যাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন। এতে স্পিকার কল্যাণের নাম না করে বলেন, “কোনও ভাবেই মহিলাদের সম্পর্কে কোনও ধরনের তির্যক মন্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। তাই সাংসদদের প্রতি আমার অনুরোধ নিজের বক্তব্যে তাঁরা যেন কোনও জাতি, সমাজ, মহিলা ও পুরুষের প্রতি ব্যক্তিগত মন্তব্য না করেন। মাননীয় সাংসদ এ প্রসঙ্গে সংসদের কক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং আমার কাছে লিখিত ভাবে ক্ষমাও চেয়েছেন।”
আজ ওই বিল নিয়ে বলতে গিয়ে তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের পরে বিশ্বগুরু হতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী অন্যান্য দেশকে প্রতিষেধক রফতানি শুরু করেন। দেশের কাছে যথেষ্ট প্রতিষেধক না থাকায় কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউতে বহু মানুষ মারা যান।” এই সময়ে স্পিকারের আসনে বসে থাকা সন্ধ্যা রায় বক্তব্য শেষ করার অনুরোধ করলে তাঁকে ‘দয়াশীল নারী’ বলে মন্তব্য করে সৌগত আরও কিছু ক্ষণ বলার সময় প্রার্থনা করেন। হেসে ফেলেন অন্য সাংসদেরা। পরে সৌগত বলেন, “বিপর্যয় মোকাবিলা অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি সর্বদা অবিজেপি শাসিত রাজ্যের থেকে বেশি অর্থ পায়।”