বিচারক ব্রিজগোপাল হরকিষণ লোয়া।
দেড় মাসও হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন উদ্ধব ঠাকরে। ক্ষমতায় আসার আগে দাবি তুলেছিলেন, বিচারক ব্রিজগোপাল হরকিষণ লোয়ার মৃত্যু-রহস্যের গভীর তদন্ত প্রয়োজন। আজ উদ্ধব সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন, বিচারক লোয়ার রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে নতুন করে তদন্তের দাবি তুলে কয়েকজন তাঁর সঙ্গে দেখা করছেন। ‘পর্যাপ্ত প্রমাণ’ থাকলে ও বিষয়টি জরুরি মনে হলে ফের তদন্ত শুরু হবে।
লোয়া-মৃত্যুর নতুন করে তদন্তের দাবি নিয়ে প্রয়াত বিচারকের পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন কি না, তা অবশ্য জানাননি মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু মুম্বই থেকে এই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও। কারণ, এই মামলার কথা তুললে বিরোধীরা যাঁর নাম জুড়ে দেন, তিনি এখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর মৃত্যুর ঠিক আগে, সিবিআই আদালতের বিচারক লোয়ার এজলাসে গুজরাতের সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়ো সংঘর্ষ হত্যা মামলার শুনানি চলছিল। অভিযোগ উঠেছিল, অমিত শাহের তরফে লোয়াকে নাকি ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা হয়। বিচারক লোয়ার মৃত্যুর পর নতুন বিচারক আসার এক মাসের মাথায় অবশ্য বেকসুর খালাস পান অমিত।
কিন্তু বিতর্ক তাতেও থামেনি। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের রায় ছিল, বিচারক লোয়ার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু চার প্রবীণ বিচারপতি আপত্তি তুলে বিদ্রোহ করেন। উদ্ধব ঠাকরে সেই সময়ও বিদ্রোহী বিচারপতিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এখন মহারাষ্ট্রে তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য শরিক এনসিপি-র। এ বারে দেখার, লোয়া-মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে শেষ পর্যন্ত কত দূর এগোয় মহারাষ্ট্র সরকার।