বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ফাইল ছবি।
আদালতকক্ষে বিচারক কোনও মন্তব্য করলেই নেটমাধ্যম তাকে রায় বলে ধরে নিচ্ছে। আদতে তা হয়তো সওয়াল-জবাবের নতুন পথ খোলার মাধ্যম মাত্র। মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর মতে, এই দু’য়ের মধ্যে যে তফাৎ আছে, তা বোঝার ক্ষমতা নেই নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীদের।
কোনও মামলার শুনানিতে সওয়াল-জবাব পর্ব চলে। বাদি-বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা আইনের যে জাল বুনছেন, তাতে অনেক সময়ই বিভিন্ন প্রশ্ন তৈরি হয় বিচারকের মনে। তিনি সেই প্রশ্ন করেন। কখনও নিজের মন্তব্যও করেন বিচারক। কিন্তু তা কখনওই সংশ্লিষ্ট বিচারকের রায় বলে গণ্য হয় না। বস্তুত, তা রায় নয়, পর্যবেক্ষণ মাত্র। কিন্তু নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীরা অনেক সময় তাকেই রায় বলে ধরে নিয়ে মন্তব্য করে থাকেন। যা মোটেও কাম্য নয়। বিচারকের পর্যবেক্ষণ এবং মামলার রায়ের মধ্যে যে বিরাট ফারাক রয়েছে, তা বুঝতে পারছেন না নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। শীর্ষ আদালতে ‘বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া’ (বিসিসিআই) মামলা চলাকালীন এই মন্তব্য করেন তিনি।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘আমরা যখন বলি, এতে এটা হবে, তখন কিন্তু আমরা রায় দিচ্ছি না। নেটমাধ্যম ভাবে, আমরা যত বার আদালতে কিছু বলি, সেটাই রায়। অথচ, এটি কেবলমাত্র কথোপকথন বা সংলাপের একটি উন্মুক্ত প্রক্রিয়া, যাতে আপনি আমাদের বলতে পারেন যে, আমরা ভুল না ঠিক।’’
বিসিসিআইয়ের সংবিধান সংশোধন চেয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি চলাকালীন এই মন্তব্য করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।