কোথায় গেলেন বিজেপির সঙ্গে-থাকা টলিউডের ‘বিশিষ্ট’রা?
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত শহর এবং শহরতলি। সাঁতরাগাছি, কলেজ স্ট্রিট, হাওড়া ময়দান— তিন দিক থেকে তিন মিছিলের গন্তব্য নবান্ন। কিন্তু তিন মিছিলে কি বিজেপির সঙ্গে-থাকা টলিউডের ‘বিশিষ্ট’রা ছিলেন?
দেখা গিয়েছে রুদ্রনীল ঘোষকে। কলেজ স্ট্রিটের মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছে রুদ্রনীল ঘোষকে। কিন্তু বাকিরা? টলিপাড়ার পরিচিত মুখের মধ্যে বিধানসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন পার্নো মিত্র, রূপাঞ্জনা মিত্র, কাঞ্চনা মৈত্ররা। তাঁদের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অঞ্জনা বসু। যেমন যোগ দিয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বস্তুত, রূপা বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে লড়েওছিলেন। হেরে যান। তবে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল বিজেপি। নবান্ন অভিযানে রূপা গঙ্গাপাধ্যায়ের ছবি যেমন সে ভাবে দেখা যায়নি। যদিও পরে কিছু দলীয় সমর্থক তাঁর অভিযানে যোগ দেওয়ার ছবি নেটমাধ্যমে আপলোড করেন। পার্নোর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তবে তিনি ফোন কেটে দেন।
যশ দাশগুপ্ত, তনুশ্রী চক্রবর্তী এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় বিজেপির হয়ে বিধানসভা ভোটে লড়লেও হেরে যাওয়ার পর থেকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তাঁদের আর কোনও সংশ্রব নেই। তবে ছিলেন রুদ্রনীল। তাঁকে কোনও ক্যামেরা সে ভাবে ধরতে না-পারলেও তিনি জানিয়েছেন, কলেজ স্ট্রিটের মিছিলে ছিলেন। রুদ্রনীল যে কলেজ স্ট্রিটের মিছিলে দিলীপের সঙ্গে ছিলেন, তা জানিয়েছেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রাও। অঞ্জনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত এক মাস ধরে অসুস্থ তিনি। বড় অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই তিনি আন্দোলনে অংশ নিতে পারেননি। নবান্ন অভিযানে যেতে পারেননি কাঞ্চনাও। তিনি ব্যস্ত ছিলেন শ্যুটিংয়ের কাজে। তিনি বলেন, “আমি গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সক্রিয় ভাবেই যুক্ত। তা ছাড়া আমি জামিনে রয়েছি। আমার নামে ১৬টা ক্রিমিনাল কেস রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে এক বার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট আর এক বার জোড়াসাঁকো থানায় হাজিরা দিতে হয়। আর মঙ্গলবার আমার আগে থেকেই শ্যুটিংয়ের ডেট দেওয়া ছিল।”
অভিযানে যাননি রূপাঞ্জনাও। তাঁর গলায় আবার অন্য সুর। রূপাঞ্জনা বলেন, “দলে থাকতেই দলের কিছু কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলাম। সুতরাং, মানুষের পাশে থাকার জন্য আমার কোনও দলের প্রয়োজন নেই।” যা থেকে অনেকে মনে করছেন, তিনি বিজেপির সঙ্গে এখন আর ‘সক্রিয় ভাবে’ জড়িত নন। তবে রূপাঞ্জনা বিজেপি ত্যাগ করছেন বলে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও পর্যন্ত করেছেন বলে কেউ জানেন না।