প্রতীকী ছবি।
শনিবার মধ্যরাতে ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালানোর জন্য ইরানের ছোড়া ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র যে পথে গিয়েছিল, সেই পথ নিয়েছিল দু’টি এয়ার ইন্ডিয়া বিমানও। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান। বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন যাত্রীরা।
‘গ্লোবাল ফ্লাইট ট্র্যাকার’ সংস্থা ‘ফ্লাইটট্রেড২৪’-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৩ এবং ১৪ এপ্রিল এয়ার ইন্ডিয়ার দু’টি বিমান ইরানের আকাশসীমার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। একটা বিমান নিউ ইয়র্ক থেকে মুম্বই এবং অন্য বিমানটি মুম্বই থেকে লন্ডনের আকাশপথ ধরেছিল। সেই একই পথেই ইরান থেকে ইজ়রায়েলের দিকে ধেয়ে এসেছিল একের পর এক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা কোনও ভাবেই যাত্রী সুরক্ষার সঙ্গে আপস করেন না। ইরানের থেকে কোনও রকম সতর্কতা জারি করা হয়নি। তা-ই সেই পথে বিমান পরিচালনা করা হয়েছিল। যদি কোনও রকম বিপদের আভাস মিলত তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হত।
তিনি আরও জানান, ইরান এবং ইজ়রায়েলের যুদ্ধ পরিস্থিতির উপর সব সময় নজর রেখেছে এ বার ইন্ডিয়া। পাশাপাশি নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। শুধু এয়ার ইন্ডিয়া নয়, ‘ফ্লাইট ট্র্যাকার’-এর তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস, কাতার এয়ারওয়েজ়ের বিমানগুলিও হামলার দিন ইরানের আকাশসীমা দিয়ে পারাপার করেছে।
উল্লেখ্য, ইরান এবং ইজ়রায়েলের সংঘাতের পরেই এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়ে দেয়, এই আবহে ভারত এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা। রবিবার একটি বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য দিল্লি এবং তেল অভিভের (ইজ়রায়েলের অন্যতম প্রধান শহর) মধ্যে বিমান চলাচল বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৪ এপ্রিল, রবিবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। দিল্লি থেকে ইজ়রায়েলের অন্যতম প্রধান শহরের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার চারটি করে বিমান যাতায়াত করে প্রতি সপ্তাহে। টাটা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন উড়ান সংস্থা এর আগে হামাস আক্রমণের সময় ইজ়রায়েলের সঙ্গে উড়ান পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল।