আরও বড় লক্ষ্যে ঝাঁপাতে চান বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। —ফাইল চিত্র।
বিহার জয়ের রেশ এখনও থিতিয়ে যায়নি। তার মধ্যেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন জয়ের লক্ষ্যে প্রস্ততি শুরু করে দিল বিজেপি। লক্ষ্যপূরণে দলীয় সংগঠনকে আরও মজবুত করার চিন্তাভাবনায় বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তারই অঙ্গ হিসেবে শীঘ্রই দেশ জুড়ে ১০০ দিনের যাত্রা শুরু করবেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। যদিও ওই যাত্রার দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
বিজেপি সূত্রে খবর, ‘রাষ্ট্রীয় বিস্তৃত প্রবাস’ নামে ১০০ দিনের ওই যাত্রায় বিজেপিশাসিত রাজ্যের পাশাপাশি দখলে নেই, এমন রাজ্যেও যাবেন বিজেপি সভাপতি। উত্তরপ্রদেশ ছাড়া ছোটবড় মিলিয়ে সব রাজ্যেই দুই থেকে ৩ দিনও থাকবেন তিনি।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ ফের ক্ষমতা দখলের পর নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা মিলেছে নড্ডার। তবে সেই সাফল্যে সন্তুষ্ট না থেকে আরও বড় লক্ষ্যে ঝাঁপাতে চান বিজেপি সভাপতি।
আরও পড়ুন: অযোধ্যায় প্রায় ছ’লক্ষ প্রদীপে দেওয়ালির আয়োজন, দেখে বিহ্বল অমিতাভ বচ্চন
২০১৪-র লক্ষ্যপূরণে কী কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেন নড্ডা? বিজেপি-র এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ১০০ দিনের সফরে দলীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন নড্ডা। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যে সম্ভাব্য জোটসঙ্গী খুঁজে বার করাও তাঁর কর্মসূচিতে থাকবে। যে সব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে শাসকের ভাবমূর্তি আরও উন্নতির চেষ্টা করা হবে। এ ছাড়া়, দলীয় আদর্শ নিয়ে ক্যাডারদের মধ্যে স্বচ্ছতা বা়ড়াতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের শীর্ষ নেতারাদের তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় উৎসাহিত করবেন নড্ডা। বিজেপি-র ওই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘দলীয় লক্ষ্যে পৌঁছতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। দলের কাজকর্ম নিয়ে সবিস্তার রিপোর্টও তৈরি করা হবে। সেই সঙ্গে দেশ গড়ার কাজে দলীয় সংগঠন আরও বাড়াতে হবে।’’
আরও পড়ুন: আলু, পেঁয়াজ, ডিমের দাম কমবে না অন্তত তিন মাস
গোটা সফরে যে সব রাজ্যে পা রাখবেন নড্ডা, সেগুলিকে চারটে ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কর্নাটক, নাগাল্যান্ড, বিহার, ত্রিপুরা-সহ বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি ‘এ’ বিভাগে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রশাসিত অঞল দিল্লি এবং রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব এবং ওড়িশার মতো রাজ্যে যেখানে বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে পারেনি, সেগুলিকে ‘বি’-শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। লক্ষদ্বীপ, মেঘালয় এবং মিজোরামের মতো ছোট রাজ্যগুলি ‘সি’-ক্যাটেগরিতে ধরা হয়েছে। কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে যেখানে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন— তেমন রাজ্যগুলিকে ‘ডি’-ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ছা়ড়া ‘সি’ভুক্ত রাজ্যগুলিতে ২দিন এবং ‘এ’ ও ‘বি’-শ্রেণিভুক্ত রাজ্যে ৩ দিন করে থাকবেন নড্ডা। তবে উত্তরপ্রদেশে ৮ দিন থাকার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
দলীয় সূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতির জন্য বিজেপি সভাপতির কোনও সভাতেই ২০০-র বেশি জমায়েত করতে দেওয়া হবে না। স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলার পাশাপাশি সভামঞ্চে শাল বা ফুলের মালা বিতরণও নিষিদ্ধ করা হবে।