জোশীমঠের বিপর্যয়ে ঝুঁকি বেড়েছে নিরাপত্তায়। দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে অমিত শাহ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
জোশীমঠ পরিদর্শনের পরে বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামীর দাবি, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গঢ়ওয়ালের ওই পাহাড়ি জনপদের মাত্র ২৫ শতাংশ ঘরবাড়িতে ফাটল ধরেছে। কিন্তু তাঁরই দল বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জোশীমঠ পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন।
নর্থ ব্লক সূত্রের খবর, জমি বসে গিয়ে ফাটল ধরেছে চিন সীমান্তবর্তী ওই শহর এবং আশাপাশের একাধিক সেনাশিবির, ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) ছাউনি এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-মুখী সড়কে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করতেই বৈঠক করেন শাহ। প্রসঙ্গত, তাঁর মন্ত্রকের অধীনেই রয়েছে আইটিবিপি বাহিনী।
সরকারি সূত্রের খবর, জোশীমঠের বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত সেনাশিবিরগুলির ২৫টি ভবনে ‘বিপজ্জনক ফাটল’ দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আইটিবিপির বেশ কিছু ঘরবাড়িও। জওয়ান এবং অফিসারদের জন্য বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা ছাড়া এলএসি-মুখী একাধিক সড়কে ফাটল ধরায় সেনা ও আইটিবিপির গতিবিধি শ্লথ হয়ে পড়েছে। কঠিন হয়েছে, দুর্গম সীমান্ত চৌকিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার কাজ।