সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
টেলিভিশনে আলোচনা সভায় ঘৃণাভাষণের দায়ে প্রায় ৭ মাস আগে বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হয়েছিলেন তিনি। এ বার পদ্ম-শিবিরের সেই প্রাক্তন সর্বভারতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে ‘আত্মরক্ষার কারণে’ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার লাইসেন্স দেওয়া হল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ নূপুরের আবেদন মেনে তাঁকে পিস্তল বহনের অনুমতি দিয়েছে।
ঘৃণাভাষণের অভিযোগে রাজ্যে রাজ্যে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে নূপুরের বিরুদ্ধে। এমনকি, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ‘ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন (আইএফএসও) ইউনিট’-ও নূপুরের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেছে। সুপ্রিম কোর্ট সাসপেন্ডেড বিজেপি মুখপাত্রকে ভর্ৎসনা করেছে। এমন এক জন বিতর্কিত ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার লাইসেন্স কেন দেওয়া হল?
দিল্লি পুলিশের তরফে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-সহ বিভিন্ন কট্টরপন্থী গোষ্ঠী নূপুরকে খুনের হুমকি দিয়েছে, তাঁর ‘মাথার দাম’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি, নেটমাধ্যমে নূপুরকে সমর্থন জানানোর ‘অপরাধে’ রাজস্থানের উদয়পুর এবং মহারাষ্ট্রের অমরাবাতীতে দুই ব্যক্তিকে নৃশংস ভাবে গলা কেটে খুনের ঘটনাও মনে করিয়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।