ফাইল ছবি
ভারতে জরুরি ভিত্তিতে করোনা টিকা ব্যবহার করার ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করল জনসন অ্যান্ড জনসন। আমেরিকার এই ওষুধ নির্মাণকারী সংস্থার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ‘গত ৫ অগস্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টিকার ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছে সংস্থা। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য এই ছাড়পত্র চাওয়া হয়েছে।’ জনসন অ্যান্ড জনসন আগেই দাবি করেছিল, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে টিকার ৮৫ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি দেখা গিয়েছে, এই টিকা নেওয়ার পরও যদি কারওর করোনা হয়, তাহলে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। স্বাভাবিক ভাবে দেশে টিকাকরণের গতি বাড়াতে এই টিকারও একটা বড় ভূমিকা থাকতে চলেছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
আপাতত কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, স্পুটনিক ভি ছাড়পত্র পেয়েছে ভারতে। এই তিনটি টিকার সাহায্যে দেশে টিকাকরণ চলছে। এরপর যদি জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাও ছাড়পত্র পায়, তাহলে টিকাকরণের গতি অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ককে টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করতে চাইছে। সেই লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করতে হলে দৈনিক টিকাকরণের হার আরও বাড়াতে হবে। সেই কারণেই নতুন কোনও টিকার অন্তর্ভুক্তি একান্ত প্রয়োজন।
জনসন অ্যান্ড জনসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই টিকা সরবরাহ করবে বায়োলজিক্যাল-ই নামে সংস্থাটি। বিশ্বজুড়ে এই সংস্থার যে সরবরাহের যে পরিকাঠামো রয়েছে, সেটিকে ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে। আলাদা করে ভারতের কথা মাথায় রেখে জনসন অ্যান্ড জনসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনার দিকে তাকিয়ে আছি। অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই এখন একমাত্র লক্ষ্য।’’