প্রকাশিত হল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পরীক্ষার ফল। ৯৯.৫ শতাংশ পরীক্ষার্থীই কৃতকার্য হয়েছেন বলে জানাল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এঁরা প্রত্যেকেই কাউন্সিলিংয়ে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
এ বছর জয়েন্ট পরীক্ষা দিতে চেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৬৯৫ জন পরীক্ষার্থী। এঁদের মধ্যে ৬৫ হাজার ১৭০ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৯৯.৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী অর্থাৎ ৬৪ হাজার ৮৫০ জন র্যাঙ্ক পেয়েছেন।
দেখে নেওয়া যাক এক নজরে প্রথম দশে কারা আছেন—
- প্রথম হয়েছেন পাঞ্চজন্য দে। রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুলের ছাত্র। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ।
- দ্বিতীয় হয়েছেন সৌম্যজিৎ দত্ত। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ।
- তৃতীয় ব্রতীন মণ্ডল। শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল স্কুলের ছাত্র। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ।
- চতুর্থ অঙ্কিত মণ্ডল। এমসি কেজরীবাল বিদ্যাপীঠ, লিলুয়া, হাওড়া। আইএসসি
- পঞ্চম গৌরব দাস। নারায়ানা ই টেকনো স্কুল। সিবিএসই।
- ষষ্ঠ আযুষ গুপ্তা। দিল্লি পাবলিক স্কুল, মেগা সিটি কলকাতা। সিআইএসসিই।
- সপ্তম ঋতম দাসগুপ্ত। আর্মি পাবলিক স্কুল কলকাতা। সিবিএসই।
- অষ্টম সপ্তাশ্ব ভট্টাচার্য। বিডি মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল, নরেন্দ্রপুর। সিবিএসই।
- নবম ঋষি কেজরীবাল।সেন্ট স্টিফেন স্কুল, দমদম। সিআইএসসিই।
- দশম সৌহার্দ্য দত্ত। বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুল। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ।
১৭ জুলাই পরীক্ষা হওয়ার ঠিক ২০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হল। শুক্রবার দুপুর আড়াইটেয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠকে জয়েন্টের ফল ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে জয়েন্ট এন্ট্রান্স কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় ১৩ আগস্ট থেকে শুরু হবে কাউন্সেলিং। উত্তীর্ণদের কাউন্সেলিং পুস্তিকা ভাল করে পরে দেখার নির্দেশ দিয়ে বলা বোর্ড জানিয়েছে কাউন্সেলিংয়ের জন্য অন্তত একবার রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক।
কাউন্সিলিংয়ের জন্য কী করতে হবে, তা নিয়েও সাংবাদিক বৈঠকে পরামর্শ দিয়েছেন জয়েন্ট এন্ট্রান্স কর্তৃপক্ষ। তিনি যা বললেন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক—
- কাউন্সিলিং পরীক্ষার সরলীকরণ করা হয়েছে এ বছর।
- কাউন্সিলিংয়ের পুস্তিকা ইতিমধ্যেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকেরা তা ভাল ভাবে পড়ে নিন।
- রেজিস্ট্রেশন এবং চয়েস ফিলিংয়ের বিষয়টি সহজ ভাবে বোঝানো আছে সেখানে।
- ছাত্র-ছাত্রীরা যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে চান, সেই প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানগুলির ব্যাপারে হোমওয়ার্ক করুন।
- যে বিষয়ে পড়াশোনা করবেন সে ব্যাপারেও হোমওয়ার্ক করতে হবে। যাতে কাউন্সেলিং এবং রেজিস্ট্রেশনের সময় চয়েজ ফিলিং করতে সুবিধা হয়।
- চয়েজ ফিলিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। চয়েজ ফিলিং বেশি করে করলে র্যাঙ্কের ভিত্তিতে তাঁরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
- রেজিস্ট্রেশন করতেই হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে যদি আরও কাউন্সেলিং হয়, তবে তারা তাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
- রেজিস্ট্রেশন একবারই হবে।
- দু’টি পর্যায়ে কাউন্সেলিং। রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশ হলেও দু’টি সর্বভারতীয় পরীক্ষার ফল প্রকাশ এখনও বাকি। এ ছাড়া আর্কিটেকচার পড়ার জন্য যে নাটা পরীক্ষাটি দিতে হয় তারও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হয়নি। এই পরীক্ষাগুলির রেজাল্ট বেরলে পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদা একটি কাউন্সেলিং হবে।
- তার আগে ১৩ আগস্ট থেকে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পরীক্ষার্থীদের জন্য কাউন্সেলিং শুরু হবে। শেষ হবে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
- তিনটি ধাপে কাউন্সেলিং। প্রথমে অ্যালটমেন্ট রাউন্ড। দ্বিতীয়টি আপগ্রেডেশন রাউন্ড। তৃতীয়টি মপ-আপ রাউন্ড।
- তৃতীয় রাউন্ডে চয়েজ ফিলিংয়ে ভুল করে ফেলা ছাত্র ছাত্রীদের বাছাই করা হবে।
- ছুটির দিনেও ভর্তি প্রক্রিয়া চালানোর অনুরোধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে।
পরীক্ষার্থীরা অবশ্য ফল জানতে পারবেন দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে। বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকে অ্যাপ্লিকেশন নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করে ‘Rank card of WBJEE-2021’— নামক ফাইলটি ডাউনলোড করতে হবে। তার মধ্যেই থাকবে জয়েন্টের রেজাল্ট।পরীক্ষার্থীদের জন্য দু’টি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে— wbjeeb.nic.in এবং wbjeeb.in। এই দু’টি ওয়েবসাইটের যে কোনও একটিতে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন বলে জানিয়েছে বোর্ড।
এবছর অতিমারীর কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। গত ১৭ জুলাই রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা হয়েছিল।