জো বাইডেন (বাঁ দিকে) এবং নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকার রক্ষার প্রসঙ্গও উঠেছে। ভারত থেকে ভিয়েতনাম সফরে গিয়ে এই কথাই জানালেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জি২০ বৈঠকে যোগ দিতে নয়াদিল্লি এসেছিলেন বাইডেন। ওই শীর্ষ বৈঠকের আগে মোদীর সরকারি বাসভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে জি২০-র আয়োজক দেশ হিসাবে ভারতকে শুভেচ্ছা জানান বাইডেন। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের।
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে দাঁড়িয়ে বাইডেন মোদীর সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, “আমি সর্বদা যা করি, একটি শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধশীল দেশের জন্য মানবাধিকারের গুরুত্বকে সম্মান করা, নাগরিক সংগঠনগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকার করা এবং স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের হয়ে সওয়াল করা যে প্রয়োজন, সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছি।” এর পাশাপাশি জুন মাসে মোদীর আমেরিকা সফরের পরবর্তী ধাপ হিসাবে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন বাইডেন।
এর আগে আমেরিকার বিভিন্ন সংস্থা তাদের একাধিক সমীক্ষা রিপোর্টে ভারতে গণতন্ত্রের হাল, সংখ্যালঘুদের উপর ‘পীড়ন’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ২০২১ আমেরিকা প্রশাসনের সাহায্যপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ফ্রিডম হাউসে’র রিপোর্টে ভারতীয় গণতন্ত্রকে ‘আংশিক গণতন্ত্রে’র তকমা দেওয়া হয়েছিল। ভারত সরকার সে সব রিপোর্টকে একপাক্ষিক বলে দাবি করে। তার পরেও বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের তকমা পাওয়া ভারতে সমানাধিকার, সাম্যের মতো ধারণার বাস্তব প্রতিফলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ওয়াশিংটন। এ বার সরাসরি ভারতকে দায়ী করা না হলেও, কৌশলে বাইডেন পুরনো প্রসঙ্গগুলি মোদীকে স্মরণ করিয়ে দিলেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ।