ফাইল চিত্র।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) সদ্য সংশোধিত পাঠ্যক্রমে ‘জেহাদি জঙ্গিবাদের’ নামে যে নতুন বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে জায়গা করে নিতে চলেছে তা আদতে ‘সাম্প্রদায়িক’। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে দেওয়া চিঠিতে এমনই নালিশ সিপিআই সাংসদ বিনয় ভিসওয়ামের। তাঁর অভিযোগ, ‘‘জেএনইউ-এর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঠ্যসূচিতে যে নব্য বিষয়টি পঠন-পাঠনের জন্য বিবেচিত হয়েছে তা শুধু সাম্প্রদায়িক নয়, ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্ককে বিষিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও।’’ তিনি মনে করেন, পড়ুয়াদের সামনে একটা ‘ঘোর অসত্যকেই’ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। শিক্ষামন্ত্রীকে লেখা তাঁর চিঠিতে রাজ্যসভার সাংসদ বিনয় জানান— ‘নিজের রাজনৈতিক মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার জন্য পাঠ্যক্রমকে এ ভাবে ব্যবহার করার এমন অসততা নজিরবিহীন।’
পাঠ্যক্রমে গৈরিকীকরণের ছায়া পড়েছিল বেশ কিছু দিন আগেই। তবে, সেই সুতোয় জেএনইউয়ের নাম যে এ ভাবে জড়িয়ে যাবে তা ভাবনার অতীত ছিল বলে মনে করছেন দেশের শিক্ষামহলের অধিকাংশই। জেএনইউ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘জেহাদি টেররিজ়ম’ বা জেহাদি আতঙ্কবাদের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যে পাঠ্যসূচি চালু হতে চলেছে, সেখানে ধর্মীয় মৌলবাদের আড়ালে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য যেমন দায়ি করা হয়েছে শুধুই ইসলামি-রাষ্ট্রগুলিকে, তেমনই রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য আঙুল তোলা হয়েছে শুধুই বামপন্থীদের দিকে। শিক্ষাবিদদের অনেকেই মনে করছেন, এ শুধু শিক্ষামন্ত্রকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’তার পরিচয় নয়, একই সঙ্গে তা ইতিহাসকে ‘বিকৃত’ করা।
ঘটনার নিন্দা করেছে এসএফআই। ছাত্র ফেডারেশনের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আরএসএস-এর সন্ত্রাসের ক্ষত জেএনইউয়ের স্মৃতিতে উজ্জ্বল। কেন্দ্রের প্রধান শত্রু যে কমিউনিস্ট এবং সংখ্যালঘুরা তা ফের প্রমাণিত।’’