শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ী পণ্ডিত। ফাইল চিত্র।
তাঁর কোনও টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই। তাঁকে নিয়ে যে সমস্ত বিতর্ক চলছে, তা পরিকল্পিত। তামিলনাড়ুর এক জন মহিলা হিসাবে তাঁর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এর উপাচার্য পদে নিযুক্ত হওয়াটা অনেকে সহ্য করতে পারছে না। নির্যাসে এ-ই হল শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ী পণ্ডিতের বক্তব্য।
উপাচার্য পদে শান্তিশ্রী মনোনীত হওয়ার পরেই তাঁর নামের একটি ‘আনভেরিফায়েড’ টুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা বেশ কিছু টুইট প্রকাশ্যে আসে। তাতে বিক্ষোভরত কৃষকদের ‘পরগাছা’, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং সেন্ট স্টিফেন্স কলেজকে ‘সাম্প্রদায়িক ক্যাম্পাস’, সমাজকর্মীদের ‘জেহাদি’ ইত্যাদি বলা হয়েছিল।
এ নিয়ে একটি চ্যানেলে শান্তিশ্রী প্রশ্ন তোলেন, তিনি উপাচার্য হওয়ার পরেই কেন ওই সমস্ত টুইট ছড়াতে শুরু করল? তাঁর কথায়, ‘‘আমার কোনও দিন টুইটার হ্যান্ডল ছিল না। জানি না কে এটা শুরু করেছিল, কে-ই বা নিষ্ক্রিয় করল। আমি কোনও রাজনৈতিক দলে নেই। এ ভাবে আমাকে আক্রমণ করবেন না। তামিলনাড়ুর এক জন মহিলাকে এই পদে আনা হয়েছে। এই যুগান্তকারী বদলটা কেন এত দিন হয়নি? অনেকেই এটা হজম করতে পারছে না।’’
পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্স সেন্টারের প্রধান থাকাকালীন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোটায় ভর্তি নিয়ে শান্তিশ্রীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বিদেশ মন্ত্রক আমাকে ক্লিনচিট দিয়েছে। আমার ভিজিল্যান্স রিপোর্ট দেখে নিন।’’
নিয়োগের পরে তাঁর প্রথম বিবৃতিতে ব্যাকরণের ভুল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। শান্তিশ্রীর বক্তব্য, ‘‘আমি এক জন শিক্ষাবিদ। আমার বায়োডেটা দেখে নিন। এ ভাবে কোনও মহিলাকে স্বাগত জানায় কেউ?’’
সংবাদ সংস্থা