ছবি সৌজন্য টুইটার।
জেএনইউয়ের উত্তর গেট তখন বিক্ষোভে উত্তাল। তার এক কিলোমিটার আগেই অবশ্য পুলিশের ব্যারিকেড। সরু ফাঁক দিয়ে লোক ঢোকানো হচ্ছে বাছাই করে। মূলত সাংবাদিক ও পড়ুয়ারাই ঢুকছেন ওই ফাঁক দিয়ে। আজ বিকেলে সেখান দিয়ে গলতে গিয়ে আটকে গেল দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের পাঁচজনের প্রতিনিধি দল। কেউ কেউ সাংসদের পরিচয়পত্র দেখালেন। কিন্তু তার পরেও অটল পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের কাছে যেতে দেওয়া হবে না তৃণমূলের নেতাদের। দীনেশ প্রাক্তন রেলমন্ত্রী— এ কথা বলার পরেও ভাবান্তর হল না পুলিশের।
উত্তপ্ত তর্কাতর্কির পর উপায় না দেখে রাস্তাতেই বসে পড়লেন দীনেশ, মানস ভুঁইয়া, শান্তনু সেন, সাজদা আহমেদ, বিবেক গুপ্তরা। প্রায় ঘণ্টা তিনেক রাস্তাতেই ধর্না দিলেন তাঁরা। দীনেশের কথায়, ‘‘আমরা যদি মুখ বেঁধে আসতাম, তা হলে বোধহয় পুলিশ সহযোগিতা করত! গত রাতে এই পুলিশই মুখোশধারীদের সাহায্য করেছে।’’ মানস বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির কাছে আতঙ্ক। সে কারণেই সবাইকে ঢুকতে দেওয়া হলেও আটকে দেওয়া হল শুধু আমাদের।’’ ঘটনা হল, কংগ্রেস-সহ কিছু রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীদের আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের কাছে যেতে দেওয়া হয়েছে। দীনেশরা বারবার বলতে থাকেন, তাঁরা আইনভঙ্গ করবেন না। জেএনইউয়ের ভিতরেও ঢুকবেন না। গণতন্ত্রের খাতিরে পড়ুয়াদের কাছে তাঁদের যেতে দেওয়া হোক। পুলিশের একটাই জবাব, ‘‘আপনাদের ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে কোনও নির্দেশ নেই।’’
রাস্তায় বসেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল নেতারা। দীনেশের কটাক্ষ, অন্য মন্দির তৈরির জন্য বিজেপি সরকারের এত তোড়জোড়! কিন্তু এই জ্ঞানের মন্দিরে সন্ত্রাস চালাতে এতটুকু দ্বিধা করছে না তারা। এদের লক্ষ্য, ভিন্ন মতের মানুষকে পেটাও, পারলে মেরে ফেলো।’’ বিবেক গুপ্ত বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, পোশাক দেখে চেনা যায় কারা হিংসা করেছে। গত রাতে যারা জেএনইউয়ে ঢুকেছিল, তাদের মুখের কাপড় দেখে এ বার কী বলবেন তিনি?”
জেএনইউ পর্ব শেষ করে শাহিনবাগে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কিছু ক্ষণ কাটান তৃণমূলের নেতারা।