অধ্যাপক সিপি চন্দ্রশেখর। —ফাইল চিত্র
মুখোশধারীদের হামলার জেরে সরকারি কমিটি থেকে সরে দাঁড়ালেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিপি চন্দ্রশেখর। রবিবারের ওই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি ওই কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন চন্দ্রশেখর। তিনি ‘ইন্ডিয়া’স ইকনমিক ডেটা’ কমিটির সদস্য। আজ মঙ্গলবারই ওই কমিটির প্রথম বৈঠক ছিল। তার আগেই সরে দাঁড়ানোয় জেএনইউ কাণ্ডে কেন্দ্র তথা বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়ল মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রক গত মাসেই আর্থিক পরিসংখ্যান বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করে। পরিসংখ্যানবিদ প্রণব সেনের নেতৃত্বে ওই কমিটির কাজ ছিল বিভিন্ন অর্থনৈতিক তথ্য পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করা। বিভিন্ন আর্থিক পরিসংখ্যানে কেন্দ্র তথা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে নানা সময়ে। সেই সব অভিযোগের মধ্যেই ওই কমিটি গঠন করায় বিতর্ক আরও বাড়ে। এই কমিটিতেই ছিলেন সিপি চন্দ্রশেখর।
এই কমিটির সদস্যদের সোমবার ই-মেল পাঠিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি মনে করি না যে, এই পরিবেশে কমিটি হারানো বিশ্বাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধার করতে পারবে।’’ সেই কারণেই তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর চন্দ্রশেখর বলেছেন, ‘‘সরকারি ব্যবস্থার উপর বিশ্বাস আরও কমল। মনে হচ্ছে আমরা একটা আলাদা জগতে বাস করছি। যে সরকারের উপর আপনি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন, সেই সরকারের সঙ্গে কাজ করা খুব কঠিন।’’
রবিবার রাতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে হামলা মুখ বাঁধা এক দল যুবক। ক্যাম্পাসে ভাঙচুর-সহ পড়ুয়াদের ব্যাপক মারধর করা হয়। আহত হন অন্তত ৩৪ জন। ওই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে আরএএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জেরে অধ্যাপক চন্দ্রশেখর যে ‘ব্যথিত’ ঘনিষ্ঠ মহল তাও জানিয়েছেন তিনি। এবং কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তও যে এই হামলার জেরে, তাও স্পষ্ট।