হাসপাতালে রক্তদান করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ছবি: মন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী সরকারি হাসপাতালে এসেছিলেন একটি বিভাগের উদ্বোধন করতে। মিনিট বিশেকের অনুষ্ঠান। মন্ত্রীর চারপাশ দেখে ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু কিছু ক্ষণ পর তাঁকে দেখা গেল সেই হাসপাতালেরই বেডে শায়িত অবস্থায়। মন্ত্রীকে ঘিরে রয়েছেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক। কোনও এক বিপন্ন রোগীকে নিজের রক্তদান করছেন মন্ত্রী।
জামশেদপুরের এমজিএম হাসপাতালের ঘটনা। ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্য এবং বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী বন্না গুপ্তা সেখানে গিয়েছিলেন স্বল্পমূল্যে আধুনিক পরিষেবার একটি ইউনিটের উদ্বোধন করতে। এ দিকে ওই দিন ওই হাসপাতালেই ভর্তি এক রোগীর জন্য রক্ত জোগাড় করতে না পেরে হন্যে হয়ে রক্তদাতা খুঁজছিলেন তাঁর স্ত্রী। মন্ত্রী আসছেন শুনে তিনি সোজা চলে যান অনুষ্ঠানস্থলে। মন্ত্রীকেই জানান বিপন্নতার কথা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী যখন জানতে পারেন, ওই রোগীর অবিলম্বে রক্ত প্রয়োজন এবং রক্তদাতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তখন তিনি জানিয়ে দেন রক্ত তিনিই দেবেন রোগীকে।
অসুস্থ রোগীর বয়স ৪৯ বছর। তিনি ঝাড়খণ্ডের কালিকাপুর জেলার পটকা ব্লকের বাসিন্দা। এই ঘটনার পর তাঁর স্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে শুভকামনা জানিয়েছেন। মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য বলেছেন, ‘‘আমি প্রথমে এক জন মানুষ। তার পর মন্ত্রী। এক বোন তাঁর স্বামীকে বাঁচানোর জন্য আমার কাছে অনুরোধ করেছিলেন। আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি।’’
অবশ্য ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বন্নার এমন কাজের নজির আরও আছে। এর আগে মার্চ মাসেই জামশেদপুর থেকে রাঁচিতে বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পথে তিন যুবককে আহত অবস্থায় দেখে রাস্তার মধ্যেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মন্ত্রী। নিজেই খবর দেন অ্যাম্বুল্যান্সে। আহতদের সেখান থেকে হাসপাতালের জন্য রওনা করিয়ে তার পরই সেখান থেকে যান মন্ত্রী।