২০১৬ সালে ‘হিন্দুস্তান’ নামে একটি হিন্দি দৈনিকের সাংবাদিক রাজদেও রঞ্জনকে খুন করে পাঁচ দুষ্কৃতী। ছবি: সংগৃহীত।
ছ’বছরের পুরনো একটি খুনের মামলায় বিহারের আদালতে সশরীরে হাজির হলেন ‘মৃত’ সাক্ষী! শুক্রবার আদালতের কাছে হলফনামা পেশ করে তাঁর দাবি, তিনি বহাল তবিয়তেই রয়েছেন। ওই সাক্ষীর মৃত্যুর ভুয়ো শংসাপত্র পেশ করার দায়ে সিবিআইকে শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছে আদালত।
২০১৬ সালে ‘হিন্দুস্তান’ নামে একটি হিন্দি দৈনিকের সাংবাদিক রাজদেও রঞ্জনকে খুন করে পাঁচ দুষ্কৃতী। ঘটনার দিন সিবান এলাকায় নিজের বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় তারা। এই খুনের মামলায় বিহার সরকারের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি। ওই বছরের ১৭ মে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিল বিহার সরকার। এর পর ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর খুনের মামলা রুজু করে সিবিআই।
সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে এই মামলার এক সাক্ষী বাদামি দেবীকে আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছিল মুজফ্ফরপুরের অতিরিক্ত দায়রা তথা বিশেষ আদালত। তবে ২৪ মে বাদামি দেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করে আদালতে সেই সংক্রান্ত শংসাপত্র পেশ করে সিবিআই। কিন্তু তিনি যে জীবিত, তা ‘প্রমাণ করতে’ শুক্রবার সে সংক্রান্ত যাবতীয় নথি-সহ একটি হলফনামা পেশ করে বাদামি দেবীর দাবি, তিনি বেঁচে রয়েছেন!
হলফনামায় বাদামি দেবীর আরও বলেন, ‘‘সিবানের কাসেরা টোলি এলাকায় নিজের বাড়িতেই রয়েছি। এই খুনের মামলায় সাক্ষী করা হলেও আজ পর্যন্ত কোনও সিবিআই আধিকারিক আমার সঙ্গে দেখা করেননি। যদিও আমাকে মৃত বলে ঘোষণা করেছে সিবিআই। খবরের কাগজ পড়ে তা জানতে পেরেছি। এটা সিবিআইয়ের যড়যন্ত্র!’’
বাদামি দেবীর হলফনামার পর অতিরিক্ত দায়রা তথা বিশেষ আদালতের বিচারক পুনীতকুমার গর্গের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে সিবিআই। আদালতের কাছে বাদামি দেবীর আইনজীবী শরদ সিন্হার অভিযোগ, ‘‘দেশের প্রধান তদন্তকারী সংস্থার এ ধরনের কাজ সন্দেহজনক। বলতে কোনও বাধা নেই যে অন্য সাক্ষীদের সুবিধায় এ কাজ করেছে সিবিআই। মনে হচ্ছে, বিজয় কুমার এবং আজহারউদ্দিন বেগের মতো অভিযুক্তদের ফাঁসাতে সিবিআই কোনও বড়সড় খেলা খেলছে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।