বর্ষার মরসুমে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবে ‘বোট অ্যাম্বুল্যান্স’। ছবি: সংগৃহীত।
জলপথে প্রথম অ্যাম্বুল্যান্স (বোট অ্যাম্বুল্যান্স) পরিষেবা চালু করছে ঝাড়খণ্ড সরকার। ১৫ মে থেকে সাহিবগঞ্জ জেলায় চালু করা হচ্ছে এই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এই পরিষেবা চালু হলে দিয়ারা এলাকার ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। বর্যাকালে দিয়ারা অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ফলে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকে না। এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারণে যানবাহনে রোগীকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে যানবাহন ঢুকতেই পারে না। তাই বন্যার সময় বা বর্ষার মরসুমে কারও যাতে হাসপাতালে যেতে কোনও রকম অসুবিধায় পড়তে না হয়, তাই ‘বোট অ্যাম্বুল্যান্স’ পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, গঙ্গার ধার ঘেঁষে দিয়ারা অঞ্চল। ফলে সহজেই প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই অঞ্চলে এমন অনেক পঞ্চায়েত আছে যেখানে যানবাহন ঢুকতে পারে না। তাই এই ‘বোট অ্যাম্বুল্যান্স’ পরিষেবা চালু হলে প্লাবিত হওয়া এলাকাগুলিতেও সহজে ঢোকা যাবে। সাহিবগঞ্জের ডেপুটি কমিশনার রামনিবাস সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “বর্ষাকালে টিকাকরণ-সহ একাধিক স্বাস্থ্য পরিষেবাও বাধাপ্রাপ্ত হয় দিয়ারা অঞ্চলে। যাতে সেই স্বাস্থ্য পরিষেবায় কোনও রকম বাধা না আসে, তাই এই নতুন পরিষেবা চালু করা হচ্ছে।”
স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২টি ‘বোট অ্যাম্বুল্যান্স’ কেনা হয়েছে। এক একটি অ্যাম্বুল্যান্সের দাম ২৯ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, “একটি অ্যাম্বুল্যান্স চালানো হবে রাজমহলে। অন্যটি সাহিবগঞ্জে। এই অ্যাম্বুল্যান্সে একসঙ্গে ৬ জন যেতে পারবেন।