শৈত্যপ্রবাহের কথা মাথায় রেখে ছুটি বাড়াল ঝাড়খণ্ড সরকার। ছবি: সংগৃহীত।
কনকনে ঠান্ডায় স্কুলে যাওয়ার কষ্ট থেকে আরও কিছুদিনের স্বস্তি পাবে ছোটরা। জানুয়ারিতে হঠাৎ পাওয়া শীতের ছুটি আরও ৭ দিন বাড়িয়ে দিল ঝাড়খণ্ড সরকার। রবিবার একটি নোটিস দিয়ে তারা জানিয়েছে, কেজি থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত স্কুল পড়ুয়াদের আপতত শনিবার পর্যন্ত স্কুলে যেতে হবে না। তবে স্কুল না খুললেও মিড ডে মিল বন্ধ হবে না। স্কুলে হাজির থাকতে হবে শিক্ষকদেরও।
উত্তর ভারতে গত এক সপ্তাহ ধরেই চলছে শৈত্যপ্রবাহ। তার জেরে পড়া তীব্র ঠান্ডায় কাঁপছে ঝাড়খণ্ডও। গত এক সপ্তাহে রাঁচীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রিতেও নেমেছে। তবে আবহবিদেরা জানিয়েছেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যে স্বাভাবিকের থেকে খুব বেশি কমেছে তা নয়। বরং কোনও কোনও ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের থেকে ২-৩ ডিগ্রি বেশিও ছিল। তফাৎটা হয়েছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায়। দিনের যে সময়ে তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কথা, সেই সময়ে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই নীচে থাকছে তাপমাত্রার পারদ। ফলে শীতবোধ বাড়ছে। সকাল ৬টার বদলে রাঁচীর প্রাতঃভ্রমণার্থীরা এখন পথে নামছেন ৮টায়। অফিস যাত্রীরাও অসুবিধায় পড়ছেন।
এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গত ৩ জানুয়ারি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল পড়ুয়াদের ছুটি দিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের সরকার। রবিবার হয়ে সোমবার থেকে খোলার কথা ছিল স্কুল। কিন্তু হেমন্ত সোরেনের সরকার নতুন একটি নোটিস জারি করে ছোটদের স্কুলের শীতকালীন ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছে। রবিবার ঝাড়খণ্ড সরকার ওই নোটিসে জানিয়েছে, সব ঠিক থাকলে আবার আগামি ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে স্বাভাবিক পঠন-পাঠন। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যেতে না হলেও শিক্ষকদের যেতে হবে। অনলাইনে ডেটা এন্ট্রি করতে হবে। সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে তো বটেই, বেসরকারি এবং আধাসরকারি স্কুলেও এই একই নিয়ম চালু থাকবে। তবে স্কুল বন্ধ থাকলেও নিয়মমাফিক মিড ডে মিল পাবে পড়ুয়ারা।
ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহের দাপটে দিল্লির সমস্ত বেসরকারি স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। রবিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তারা জানিয়েছে, আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লির সমস্ত বেসরকারি স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলিতেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকা। গত কয়েকদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহের কারণে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ৯ তারিখ থেকে খোলার কথা ছিল স্কুলগুলি। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ছুটির দিন আরও বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হল দিল্লি সরকার। গত কয়েকদিন ধরেই দিল্লির তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছিল দুই ডিগ্রির আশেপাশেই। রবিবার তা নেমে গিয়েছিল তারও নীচে।