ডিএ বাড়াল ঝাড়খণ্ড সরকার। প্রতীকী ছবি।
সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল ঝাড়খণ্ড সরকার। এত দিন ওই রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন। এ বার তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মতোই ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারির হিসাবে বকেয়া ডিএ পেয়ে যাবেন সে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। বর্তমানে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ড মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল রাঁচীতে। ওই বৈঠকেই স্থির হয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়ানো হবে। ওই দিনই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে বলা হয়, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের পর যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীর বেতন কাঠামো পরিবর্তিত হয়েছে, তাঁরা সপ্তম বেতন কমিশন অনুসারে ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন। পাশাপাশি, রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের বেতনও বাড়িয়েছে হেমন্ত সোরেনের সরকার।
২০২২ সালের মে মাসে এ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের যুক্তি ছিল, হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে এই মুহূর্তে বহন করা কঠিন। রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, বকেয়া ডিএ দিতে হলে রাজ্যের উপর বিশাল অঙ্কের আর্থিক বোঝা চাপবে। কিন্তু ডিএ সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য অধিকার। এর থেকে তাঁদের কখনওই বঞ্চিত করা যাবে না। এর পর গত বছর ৫ ডিসেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে উঠলেও বার বার পিছিয়েছে ডিএ মামলার শুনানি। শুক্রবার আবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।