Hemant Soren

সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানালেন রাজ্যপাল, রবিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন হেমন্ত

সরকার গড়ার আমন্ত্রণ মেলার পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাড়খণ্ড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ঠাকুর এবং আরজেডি নেতা সত্যানন্দ ভক্তকে নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন হেমন্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ১৫:১২
Share:

(বাঁ দিক থেকে) রাধাকৃষ্ণণ এবং হেমন্ত। — ফাইল চিত্র।

আগামী রবিবার (৭ জুলাই) ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয় বার শপথ নিতে চলেছেন জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন আনুষ্ঠানিক ভাবে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানান হেমন্তকে। তার পরেই জেএমএম নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রবিবার হেমন্তের নেতৃত্বে নতুন জোট সরকার শপথ নেবে।’’

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাড়খণ্ড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ঠাকুর এবং আরজেডি নেতা সত্যানন্দ ভক্তকে নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন হেমন্ত। তার পরে দল ও জোটের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের কাছে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন চম্পই সোরেন। তার পরেই নতুন করে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার জন্য আবেদন জানান হেমন্ত।

জেএমএম পরিষদীয় দলের বৈঠকে বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী চম্পইকে সরিয়ে হেমন্তকে ফেরানোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে। ওই সূত্রের দাবি, হেমন্তের এই উদ্যোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চম্পই। তবে শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত মেনে ইস্তফা দিতে রাজি হয়েছেন ‘সিংভূমের টাইগার’। বর্তমানে জেএমএমের শীর্ষপদে রয়েছেন হেমন্তের বাবা শিবু সোরেন। হেমন্ত দলের কার্যকরী সভাপতি পদে। শিবু-পুত্রকে তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিনিময়ে চম্পাইকে নতুন কার্যকরী সভাপতি করা হতে পারে বলে জল্পনা।

Advertisement

গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। হেমন্তের অনুপস্থিতিতে চম্পাইকে মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেন জেএমএম নেতৃত্ব। পাঁচ মাস রাঁচীর বিরসা মুন্ডা জেলে বন্দি থাকার পরে গত ২৮ জুন ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছিলেন হেমন্ত। তার পরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্বে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল।

হেমন্তের বিদায়ী মন্ত্রিসভার পরিবহণ মন্ত্রীর পদে ছিলেন চম্পই। সেরাইকেলা-খরসঁওয়া জেলার সেরাইকেলা আসনে ২০০৫ সাল থেকে টানা চার বারের এই জেএমএম বিধায়ক গোটা সিংভূম অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা। সেখানে ‘টাইগার’ নামে তিনি পরিচিত। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জামশেদপুর হেরে গেলেও সে বছরের বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ী হয়েছিলেন চম্পই। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement